Breaking News

শুভেন্দুর রক্ষাকবচে চিড়!শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর করতে পারবে, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-চাপে পড়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কারণ কলকাতা হাইকোর্ট আজ, বৃহস্পতিবার জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে জানিয়ে দিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারবে পুলিশ। এতদিন রক্ষাকবচ ছিল বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারছিল না পুলিশ। এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করা যাবে না কেন?‌ এই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী সুমন সিং।এদিন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানান, অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখে পুলিশ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে। যদি দেখা যায়, অভিযোগ সত্য এবং বিষয়টি গ্রহণযোগ্য মনে হলে পুলিশ এফআইআর করতে পারবে। সুতরাং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা যে রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে তা কার্যত খারিজ হয়ে গেল। জনস্বার্থ মামলায় আপাতত এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। চার সপ্তাহ পরে আবার মামলাটির শুনানি রয়েছে।তবে একইসঙ্গে আদালত এও জানিয়ে দিয়েছে, এফআইআর করার ক্ষেত্রে আগে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে।

শুধুমাত্র বিরোধী দলনেতাকে হেনস্থা করার উদ্দেশ্যে যেন এফআইআর না করা হয়, সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। আদালত আরও জানিয়েছে, পুলিশ তার ক্ষমতা যেন যথাযথভাবে প্রয়োগ করে এবং সচেতনভাবে অভিযোগ খতিয়ে দেখে। উল্লেখ্য, এর আগে গতবছর কলকাতা হাইকোর্টের রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চের থেকে আইনি রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৬টি এফআইআরের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। ওই এফআইআরগুলি নিয়ে তদন্ত আর না এগোনোর জন্য বলেছিল হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নতুন করে কোনও এফআইআর করার আগে আদালতের থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি মান্থার একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে এমনকী সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চ প্রথমে একক বেঞ্চের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। তাই রাজ্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট আবার হাইকোর্টেই ফিরিয়ে দিয়েছে। সেটি এখনও বিচারাধীন।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *