দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- একুশের মঞ্চ থেকে দিল্লিকে, গেরুয়া শিবিরকে, বিভেদকামী শক্তিকে নিশানা বানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের সকালে তিনি আগেই দিয়েছেন ট্যুইট বার্তা। জানিয়েছিলেন, ‘আজ শহীদ দিবস, প্রত্যাবর্তনের দিবস। হৃদয়জুড়ে জাগিয়ে তোলে আবেগের মহাস্রোত। বাংলা আজ সেই ১৩জন শহীদকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে যারা যারা অত্যাচারী শক্তির সঙ্গে লড়াই করে এবং গণতান্ত্রিক নীতিকে সমুন্নত রাখতে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। সেই ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমিও কাজ করে যাব একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে।’
আর মঞ্চে এসে তুললেন গর্জন, ‘যদি কেউ ভাবে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূলকে দুর্বল করবে, তা হলে ভুল করেছ। তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা, যত পোড়াবে, আঘাত করবে তত শক্তিশালী হবে। ‘ইন্ডিয়া’কেও আটকানো যাবে না।’এদিন ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে অভিষেক কড়া ভাষায় বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে তুলোধনা করেন। আর দলীয় কর্মীদের রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘আগামী ৫ অগস্ট প্রতিটি ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করুন। আগে তালিকা তৈরি করুন। তারপর আগামী ৫ অগস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করুন। প্রত্যেকটি বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করুন।’ কিন্তু অভিষেকের ঘোষণা করা সেই কর্মসূচিতে খানিকটা আপত্তিই জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মসুচিটি খানিকটা শুধরে দিয়ে তিনি বলে দিলেন, “অভিষেক যে কর্মসূচির কথা বলেছে, সেটা আমি বলব শুধু ব্লক স্তরেই করো। বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরত্ব রেখে করো। যাতে যাতায়াতে অসুবিধা হয়। যাতে কেউ বলতে না পারে আমাদের হ্যারাস করা হয়েছে।” মমতার কথায়, ‘ওটা প্রতীকী ঘেরাও হোক।’অর্থাৎ অভিষেক যেখানে বুথস্তর থেকে সার্বিকভাবে ঘেরাও কর্মসূচি চাইছেন, সেখানে মমতা চাইছেন ব্লক স্তরে প্রতীকী ঘেরাও কর্মসূচি। যা দেখে বিরোধীরা প্রশ্ন বলছেন, তৃণমূলের অন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের যে দ্বিমত চলছে, সেটা প্রকাশ্যে চলে এল। যদিও তৃণমূল বলছে, এতে দ্বিমতের কিছু নেই। অভিষেক একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, নেত্রী সেটা শুধরে দিয়েছেন।