Breaking News

২১ জুলাইয়ের সভা শেষ করে মঙ্গলাহাটে মমতা!মমতার কাছে তোলাবাজির অভিযোগ মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের,ঋণদানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ধর্মতলায় শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সোজা হাওড়া মঙ্গলাহাটে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জানান, সিআইডি ও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট যৌথভাবে তদন্ত করবে। তিনদিনের মধ্যে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখতে হবে। ইতিমধ্যেই মঙ্গলাহাটে আগুন লাগার ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। মমতা বলেন, তাও খতিয়ে দেখবে প্রশাসন। মমতার কথায়, “সিআইডি, হাওড়া কমিশনারেট মিলিয়ে তদন্ত করছে। কেউ আগুন লাগিয়েছে কি না দেখা হবে। এতো কর্মসংস্থান বারবার জ্বালিয়ে দেবে তা হতে পারে না।”গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হাওড়ার মঙ্গলাহাট। একের পর এক শাড়ির দোকানে আগুন। কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার ২১ জুলাইয়ের সভা শেষ করেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন দুপুরে মঙ্গলাহাটে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেইসঙ্গে কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল তার কারণ খুঁজে বের করতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

একইসঙ্গে সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাঁচ লক্ষ টাকা করে ঋণ দেবেন বলেও ঘোষণা করেন। রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত বাজার চত্বর হাওড়ার মঙ্গলাহাট। বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মানুষ এখানে কেনবেচা করতে আসেন। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের অন্তত ১৪ টি ইঞ্জিন। সারা রাত ধরে আগুন নেভানোর কাজ চলে। কিন্তু সকাল হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা যায়নি।শুক্রবার সকালে ফের আগুন ছড়িয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। দমকলের তরফে জানানো হয়, দোকানগুলি মূলত বাঁশ ও কাঠের তৈরি হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। প্রায় পাঁচ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে আগুন লেগেছে। বহু কাপড়ের দোকান ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। তবে পাশেই গঙ্গা থাকায় জন সরবরাহে কোনও ঘাটতি হচ্ছে না বলেই জানিয়েছে দমকলকর্মীরা।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *