দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- নেশামুক্তি কেন্দ্রে এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে সরব পরিবার। এই ঘটনায় শনিবার সকাল থেকে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুর্গাপুরে। তদন্তে নেমেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে রিহ্যাব হোমের ম্যানেজারকে। পরিবারের একমাত্র ছেলেকে নেশার কবল থেকে মুক্ত করতে স্বাস্থ্য ও মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন বাবা-মা। প্রায় দেড় বছর ধরে সেখানে ছিলেন সুমিত দাস। কিন্তু সুস্থ হয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না। তার আগেই মৃত্যু হল মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রের ওই আবাসিকের। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের এক মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রে। মৃত যুবকের বাড়ি দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার সুভাষপল্লিতে। যুবকের হঠাৎ মৃত্যুতে ওই মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রকেই কাঠগড়ায় তুলছেন পরিবারের লোকেরা। অভিযোগ তুলছেন, যুবককে ঠিকঠাক খেতে দেওয়া হত না। এমনকী মারধরও করা হত। সেই সবের জেরেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিজিত ভাওয়াল নামে হোমের এক কর্মীকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। তাঁকে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।পরিবারের দাবি, শুক্রবার গভীর রাতে সুমিতের মামার কাছে ফোন যায় হোম থেকে। ঘড়িতে তখন রাত প্রায় দেড়টা। বলা হয়, সুমিত অসুস্থ। শ্বাসকষ্টের সমস্যা চলছে। তাই সুমিতকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানানো হয়।