প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সফল হল না পূর্ব ভারতের প্রথম হাত প্রতিস্থাপন । দাতার হাত ঠিকমতো গ্রহণ করতে পারছে না গ্রহীতার শরীর। সেই কারণেই এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন ওই গ্রহীতা যুবকের ডান হাত বাদ গেল। বুধবার চিকিৎসকরা জানান, বাঁ হাতের অবস্থাও ভালো নয়। পূর্ব ভারতের মধ্যে প্রথম হাত প্রতিস্থাপন হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে।গত সপ্তাহে বিরাটির বাসিন্দা ওই যুবকের হাত প্রতিস্থাপনের পরে তাকে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, হাত প্রতিস্থাপনের ৮ দিন পর থেকেই ডান হাত প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করে গ্রহীতার শরীর। এই অবস্থায় ডান হাতটি কেটে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। এখন ওই যুবকের কী হবে? তা নিয়ে সঞ্চয় তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর হাত প্রতিস্থাপনের পর থেকেই বিরাটি ওই যুবককে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। ডান হাতের মাংস বেশি গরম হয়ে যাচ্ছিল।
আঙুলেও সাড় ছিল। কিন্তু ৭ দিন পর থেকেএ যুবকের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা ওই হাত প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করে। তবে বাঁ হাত নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের বক্তব্য, কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে সাফল্যের হার হল ৮০ শতাংশ। সেখানে হাত প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে সাফল্যের হার ১০ থেকে ২০ শতাংশ। তাছাড়া এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন খুব জটিল। ব্যর্থ হল হাত প্রতিস্থাপন। পূর্ব ভারতে প্রথম হাত প্রতিস্থাপন করে নজির গড়েছিল রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম। কিন্তু, দাতার হাত ঠিকমতো গ্রহণ করতে পারছে না গ্রহীতার শরীর। সেই কারণে মঙ্গলবার রাতে গ্রহীতার শরীর থেকে ডান হাত কেটে বাদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। যদিও তাঁর বাঁ হাত নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য, পূর্ব ভারতের মধ্যে প্রথম হাত প্রতিস্থাপন হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা অভিনন্দন হাসপাতালের চিকিৎসকদের অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন।