প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ‘দুর্নীতির সঙ্গে আমি জড়িত নই’। ফ্ল্যাট দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দাবি তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের। যদি ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে যা বলবেন তাই করব’, পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিনেত্রী। একই সুরে জানিয়ে দিলেন, “চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি দুর্নীতি করিনি।” এদিন হাসিমুখে সাংবাদিক বৈঠকে ঢুকলেও বেরনোর সময় মেজাজ হারান অভিনেত্রী। বুধবার কলকাতায় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে নুসরত জাহান তোপ দাগলেন, মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। আরও বললেন, ‘না জেনে কাউকে অ্যালিগেশন দেবেন না। অর্ধসত্য খুব ভয়ংকর।’ সাংবাদিক বৈঠক করে নুসরত দাবি করেন, ‘শুটিংয়ের জন্য আউটডোরে ছিলাম। তাই গতকাল আমি আসতে পারিনি। আমি কৈফিয়ৎ দিতে এখানে আসিনি। ব্যাখ্যা তারা দেয়, যারা ভুল করে। যাদের মনে অন্যায় থাকে। আমি আপনাদের কাছে এসেছি, কারণ মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। এটি আদালতের বিচারাধীন বিষয়। এখন যে কোর্ট কেসে পেন্ডিং আছে, সেই জুডিশিয়াল ম্যাটারে ইন্টারফেয়ার করা কোনও সভ্য সমাজের কাজ নয়।’ নুসরতের দাবি, ‘এই কোম্পানি থেকে ২০১৭-র ১ মার্চ আমি রিজাইন করি। আমার বাড়ি দুর্নীতির টাকা দিয়ে কেনা নয়। এই কোম্পানি থেকে আমি লোন নিই। ১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা লোন নিই। ২০১৭-র ৬ মে সুদ সহ ১ কোটি ৪০ লাখ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরৎ দিই এই কোম্পানিতে। সব ব্যাংক ডিটেইলস ও রেকর্ড আমার কাছে আছে। আমি কোনওদিনই এরকম কোনও কাজ না করেছি, না করব। ৩০০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, দুর্নীতির সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নয়। কোম্পানি আমাকে লোন দিয়েছিল। সেই লোন আমি সুদ সহ ফেরৎ দিয়েছি। ব্যাংক ডিটেইলস-এ তার ভেরিফায়েড প্রমাণ আছে। এখানে কোনওভাবেই কোনও রাজনৈতিক বিষয় নেই। রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’ এত্ত বড় একটা অভিযোগ, কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ তাও আবার ব্যাঙ্ক কর্মীদের সঙ্গে, এমন একটি ইস্যু যা মোটামুটি রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলেছে। কিন্তু তার ‘ক্ল্যারিফিকেশন’ শেষ মাত্র সাত মিনিটেই। অর্থাৎ সাত মিনিটে সাংবাদিক বৈঠক শেষ করলেন নুসরত। চেয়ার ছেড়ে উঠে গেলেন। সাংবাদিকরা তখনও তাঁর উদ্দেশে ন্যায্য প্রশ্ন ছুড়ে যাচ্ছেন, উত্তর দেননি তিনি। না শোনার ভান করেই বেরিয়ে গেলেন প্রেস ক্লাব থেকে।