দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের জন্য পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকেও ডাকা হয়েছিল। ঘটনা ভাঙড়-২ ব্লকের অন্তর্গত ভোগালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের। সেখানে একটি আসনে আইএসএফ প্রার্থী বসিরউদ্দিন সর্দার পেয়েছেন ৫০০ ভোট। আর তৃণমূল প্রার্থী আখের আলি মোল্লা পেয়েছেন ৩৯৭ ভোট। সামনেই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। আর সেখানে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আখের আলি মোল্লাকে বোর্ড গঠনের জন্য ডাকা হয়েছিল বলে অভিযোগ আইএসএফের। এই নিয়ে সোমবারই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইএসএফ। মঙ্গলবার হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চে। এদিন মামলার শুনানিতে ভাঙড়ের ভোগালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই বিতর্কিত আসনের জয়ী আইএসএফ প্রার্থী বসিরউদ্দিন সর্দারকে বোর্ড গঠনের জন্য ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। উল্লেখ্য, আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার দুপুর ১২টায় ওই পঞ্চায়েতের জয়ী সদস্যদের শপথ এবং বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এমন অবস্থায় বিডিও-কে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামিকাল বোর্ড গঠনের জন্য আইএসএফ প্রার্থীর উপস্থিতিতে বৈঠক করতে হবে।প্রসঙ্গত, ভোগালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন রয়েছে ১৮টি। তার মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জয় পেয়েছে ১০টি আসনে। বাকি আটটি আসনের মধ্যে তৃণমূল ও আইএসএফ উভয় শিবিরই চারটি করে আসনে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের জন্য হঠাৎ করে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আখের আলি মোল্লাকে ডাকায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে নালিশ জানিয়েছিলেন ওই আসন থেকে জয়ী আইএসএফ প্রার্থী। প্রশ্ন উঠেছিল বিডিও-র ভূমিকা নিয়ে। যদিও এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে ভুল স্বীকার করে নেওয়া হয়। জানানো হয়, ভুল করেই ওই পরাজিত প্রার্থীকে ডাকা হয়েছিল।