প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- শনিবার সকালে কোলাঘাটে বিজেপির পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের হিংসার কথা তুলে ধরে আক্রমণ শানান। ঘন্টাখানেকের মধ্যেই মোদিকে পাল্টা আক্রমণে নামলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এক অডিও বার্তায় মমতা বিজেপি জমানার দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন। মোদিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনার মুখে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের অভিযোগ মানায় না। আপনাকে ঘিরেই তো অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে শুরু করে রাফাল চুক্তি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি, প্রতিরক্ষা কারখানা বিক্রি-সবেতেই আপনার নাম জড়িয়ে রয়েছে। আজ, কোলাঘাটে বিজেপির পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় উপর্যুপরি হিংসার ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। সেখানে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ের পরও তৃণমূল প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রক্ত নিয়ে হোলি খেলা শুরু করেছে। যারা নিজেরা ভোট লুঠের অভিযোগ করত, যারা নিজেদের গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন বলে দাবি করত, সেই তৃণমূলের লোকেদেরই টিভির পর্দায় ব্যালট বাক্স নিয়ে পালাতে দেখাগিয়েছে। ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। গুন্ডাদের বরাত দেওয়া হয়েছিল বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে। লোকসভা নির্বাচনে সেটা হবে না।’এদিন মুখ্যমন্ত্রী এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়েনি প্রধানমন্ত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অডিয়ো বার্তায় সুর চড়িয়ে বলেন, ‘কোনও প্রমাণ ছাড়াই কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। উনি চান, দেশবাসী কষ্টে ভুগুক, মারা যাক, শুধুমাত্র বিজেপির সমৃদ্ধি হোক। বিজেপি এই চিন্তাধারা দিয়ে সাধারণ মানুষকে বারবার বোকা বানাতে পারবে না। আপনি কিছু সময় মানুষকে বোকা বানাতে পারেন, সারাজীবন নয়। আয়নায় নিজের মুখ দেখুন, চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম।’ সুতরাং বাংলার মাটিতে আবার যুযুধান দুই প্রতিপক্ষের তরজায় তপ্ত হয়ে উঠল রাজনীতির বাতাবরণ।পাশাপাশি মমতা এদিন টুইট করে বিচার ব্যবস্থার উদ্দেশে দেশকে বাঁচানোর ডাক দেন। কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচন কমিশনার মনোনয়নের প্যানেল থেকে দেশের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়ার জন্য বিল এনেছে। সেখানে তাঁর জায়গায় একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রাখার কথা বলা হয়েছে। তারই প্রতিবাদ করে মমতা লেখেন, এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকেও তাঁবে রাখতে চাইছে সরকার। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সরকার কি বিচার ব্যবস্থাকে মন্ত্রী পরিবেষ্টিত ক্যাঙারু কোর্ট বানাতে চাইছে। তিনি লেখেন, আমরা চাই, বিচার ব্যবস্থা দেশকে বাঁচাক।