দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-বিস্ফোরণের ২৭ ঘণ্টা পর দত্তপুকুরের মোষপোলে বেআইনি বাজি কারখানার ধ্বংসস্তূপে পৌঁছল এনআইএর গোয়েন্দা দল । ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে। বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখলেন এনআইএ-এর দুই আধিকারিক। সেখানে তদন্তকারী এক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে তাঁরা বেরিয়ে যান। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর ১.৪০ মিনিট নাগাদ এনআইএ-এর দুই আধিকারিক ঘটনাস্থলে যান। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের কথা বলতে দেখা যায়। তারপর খুব কম সময়ের মধ্যে তাঁরা প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বেশি তাঁরা দুর্ঘটনাস্থলে ছিলেন না। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, যে কোনও বিস্ফোরণের ক্ষেত্রেই একটি নিয়ম রয়েছে, এনআইএ একটা প্রাথমিক তদন্ত করে। তথ্য সংগ্রহ করেন। কিন্তু এই ঘটনার ক্ষেত্রে এই তথ্য সংগ্রহ আরও গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। তার মধ্যে বাজি কারখানার মালিক কেরামত শেখের ছেলে রবিউল রয়েছে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের একাধিক বাসিন্দারাও মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন সুতির বাসিন্দা জেরাত আলি। তাঁর ভাই ইশা খাঁকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। নিমতিতা স্টেশনে মন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। ইশার দাদা জেরাত আলি আবার কাজ করতেন এই বাজি কারখানায়। ফলে সেই বিশেষ তথ্য সংগ্রহে আরও তৎপর এনআইএ।তবে এখনই সরকারিভাবে এনআইএ তদন্তভার হাতে নেয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। ইতিমধ্যেই অবশ্য এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-এনআইএ দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুলেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে সোমবার সকালেই রাজ্য পুলিশের ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করে। দীর্ঘ সময় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বিস্ফোরণস্থলে ছিলেন। রবিবার বিস্ফোরণের পরে ধ্বংসস্তূপ থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ। সোমবার নতুন করে ফরেনসিক বিভাগের আধিকারিকরা বিস্ফোরণ স্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। মূলত কী ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য বাজি কারখানায় মজুত ছিল তা খতিয়ে দেখেন এনআইএ ও ফরেনসিক আধিকারিকরা।