প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বাংলার সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন আটকে রয়েছে। ছাত্র সংসদের নির্বাচন করানোর বিষয়ে রাজ্যের সদিচ্ছার কথা কয়েক মাস আগেই শুনিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তবে ছাত্র ভোট এখনও হয়নি। সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে ফের একবার ছাত্র ভোট নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের ছাত্র সংগঠনের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানালেন, পুজো মিটলেই ছাত্র সংসদের নির্বাচন করাতে আগ্রহী তিনি।সভা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনারা যদি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনটা করতে পারেন তা হলে আমি জেলায় জেলায় নির্দেশ দিয়ে দেব।’ ২০১৭ সালে শেষবার রাজ্যে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়েছিল। তারপর যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, রবীন্দ্রভারতীর মতো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হলেও সেগুলি সম্পূর্ণ ছিল না। এবার গোটা রাজ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সভা থেকে পুলিশকে কড়া বার্তা দেন তিনি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মঞ্চ থেকে সুর চড়ান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গোলি মারো বলছে। দিল্লি করবে ভেবেছে। দেখি কত বড় সাহস। মার গোলি। পুলিশকে বলেছি সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে। যারা এই স্লোগান দিয়েছে। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি লালে লাল হয়েছে। গণ্ডগোল করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। আমি পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিচ্ছি যে ছাত্র যেখানে পড়ে, সেখানে কলেজ করবে। বাইরের কেউ যেন গুণ্ডামি করতে না পারে। গোলি মারার অধিকার কারও নেই। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এখানে এক হয়ে কা–কা করে ডাকছে।’এদিন পুলিশ-প্রশাসনকেও কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, ছাত্র নির্বাচন ঘিরে যাতে কোথাও কোনও গন্ডগোল না হয়। মমতার স্পষ্ট কথা, বহিরাগত কেউ যেন কলেজগুলিতে ঢুকতে না পারে ছাত্র সংসদের ভোটের সময়। বুঝিয়ে দিলেন, কোনও ‘গুন্ডামি’ বরদাস্ত নয়। একইসঙ্গে ভোটের সময় দলের ছাত্র সংগঠনকে সবরকম প্রয়োজনীয় সাহায্য করার জন্যও দলের নেতা-নেত্রীদের দিয়ে রাখলেন মমতা। বললেন, ‘আপনারা প্রত্যেকে এদের সাপোর্ট দেবেন। মনে রাখবেন, ছাত্র পরিষদের নির্বাচনটি আপনাদের নির্বাচন। ওদের পাশে দাঁড়াতে হবে। দরকার হলে ফ্ল্যাগ, ঝালমুড়ি কিনে দিতে হবে।’ ইন্দ্রনীল সেন, বাবুল সুপ্রিয়রা যাতে প্রয়োজনে ছাত্র সংগঠনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করে দেন, সেই কথাও বললেন তিনি।