দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- নির্ধারিত সময়ের আগেই ইডির দফতরে পৌঁছে গেলেন নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সকাল ১১টার সময় তলব করে ইডি। নুসরত সকাল ১০টা ৪৩ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে পৌঁছে যান। হাতে নথি নিয়ে তাঁকে ইডির দফতরে ঢুকতে দেখা যায়। তদন্তে তিনি সব রকম সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।গত সপ্তাহে আচমকা ইডি নুসরতকে নোটিস পাঠিয়ে তলব করে। ইডির তরফে জানানো হয়, ফ্ল্যাট দুর্নীতি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাই মঙ্গলবার ইডি দপ্তরে তলব করা হয়েছে। নুসরত অবশ্য তলবের খবর শুনে জানিয়েছিলেন, ”অবশ্যই যাব, সহযোগিতা করব।” সেই কথা রেখেই মঙ্গলবার সময়ের আগেই তিনি পাম অ্যাভিনিউর বাড়ি থেকে পৌঁছে গেলেন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। সঙ্গে ফাইলে নথিপত্র।ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোম্পানির। সেই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট তৈরির জন্য কেনা হবে জমি। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে চারশো উনত্রিশজনের থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে সেই টাকার পরিমাণ ২৩ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। ৯ বছর পর যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন, তাঁরা কোনও ফ্ল্যাট পাননি।অভিযোগ তুলে প্রথমে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ, এরপর ইডির দ্বারস্থ হন অভিযোগকারীরা। তদন্তভার নেওয়ার পর ইডি সূত্রে দাবি, একটি মোটা অঙ্কের টাকা গিয়েছিল নুসরত জাহানের কাছে। ঘুর পথে টাকা নেওয়ার ছক, মনে করছেন তদন্তকারীরা। দাবি করা হয়েছে ইডি সূত্রে। যদিও প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে নুসরত জাহান দাবি করেছিলেন তিনি কোনও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত নন। তিিন সংস্থার ডিরেক্টর থাকাকালীন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন মাত্র। সেই টাকা তিনি সুদে আসলে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন।