দেবরীনা মণ্ডল সাহা:-গত ২৭ অগস্ট বাজি বিস্ফোরণে ৯টি প্রাণ গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে। এবার সেখানে বোমা ফেটে জখম হল পাঁচ নাবালক। শুক্রবার দুপুরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায় | তাদের সকলের শারীরিক অবস্থাই গুরুতর। স্থানীয় ছোট জাগুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সকলের চিকিৎসা চলছে বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মানিকতলা বাজার এলাকায় বিস্ফোরণ হয়। এদিন দুপুরে গ্রামবাসীরা স্থানীয় মসজিদে নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন। ছোটরা খেলা করছিল। একটি ডোবার ধারে বালতির ভিতর গোল মতো কিছু একটা দেখতে পায় কিশোরের দল। তা তুলে নিয়ে খেলা শুরু করে। আর সেসময়ই আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। জখম হয় ৫ কিশোর।স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলামের কথায়, ”আমরা নমাজ পড়তে গিয়েছিলাম। কিছু জানতাম না। বাচ্চারা খেলছিল, ওরাই বোমাটা নিয়ে খেলতে শুরু করে। আমরা বাড়িতে থাকলে আটকাতাম। কিন্তু আমরা নমাজ পড়ছিলাম। সেসময়ই একটা বিকট আওয়াজ শুনলাম। তারপর এসে দেখি, এখানে একটা বিস্ফোরণ হয়েছে। জখম হয়েছে ৫ জন। ওদের বয়স ৮ বছর, ১০ বছর, ১২ বছর – এরকম। কারা এখানে বোমা রেখে গেল, বুঝতে পারছি না। এই ডোবায় মাছ ধরে সবাই। তাই কে এই কাজ করল, জানি না।”তবে কে বা কারা ওই বোমা রেখেছিল তা জানা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ।উল্লেখ্য, গত ২৭ অগস্ট ওই দত্তপুকুরেরই নীলগঞ্জে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় অন্তত ন’জনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বারাসত শহর থেকেও। স্থানীয় সূত্রে খবর, গোটা এলাকায় বাজির কারবার চলত। অভিযোগ ওঠে, যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন বাড়িতে ঘরোয়া ভাবে বাজির মশলা তৈরি হত। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন সব জেনেও কোনও পদক্ষেপ করত না।