প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সোমবার রাতে দিল্লিতে এসে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার সকালে শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁর অফিসে যান তিনি। সেখানেই প্রায় এক ঘণ্টা ছিলেন বোস। বেলা ১২টা নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করেননি রাজ্যপাল। সোমবার বিকেলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার ইস্যু নিয়ে বৈঠক হয় রাজ্যপালের। তার পরেই সন্ধ্যার বিমানে তিনি রওনা দেন রাজধানীর উদ্দেশে। রাজ্যপাল ইমেইল মারফত সে কথা জানানোর পরই তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক। এক্স মাধ্যমে সেই ইমেইল পোস্টও করেছেন অভিষেক।রাজ্যপালের জন্য অপেক্ষায় রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন অভিষেক। রাজ্যপাল না ফিরলে তিনি মঞ্চ ছাড়িবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। অবশেষে সোমবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। প্রায় ২০ মিনিট ভিতরে ছিলেন তাঁরা। তৃণমূলের দাবি ছিল, ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন, সেই বার্তা দিল্লিতে পৌঁছে দিতে হবে। জানা গিয়েছে, রাজভবনের উপস্থিত জব কার্ড হোল্ডাররা তাদের কার্ড রাজ্যপালের পায়ের কাছে রেখে বিচারের দাবি জানান। এই সাক্ষাতের পর ফের রাজ্যপাল দিল্লি গিয়েছেন। সেখান থেকেই মেইল করে তিনি জানিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারকে ওই দাবি জানানো হয়েছে।মেইল পাওয়ার পর রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক্স মাধ্যমে পোস্ট করেছেন অভিষেক। তিনি লিখেছেন, ‘দ্রুততা সঙ্গে বাংলার মানুষের কথা দিল্লিতে জানানোর জন্য ধন্যবাদ।’ মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের দাবিদাওয়া নিয়েই রাজ্যপাল কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। তবে জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের একাংশের কথায়, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্যপালকে যে অভিযোগ করেছেন, তার সুরাহা করতে পারবেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ বিষয়টি তাঁর মন্ত্রকের অধীনে নয়। এ ক্ষেত্রে সমস্যা মেটাতে হলে রাজ্যপাল সরাসরি কথা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিংবা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহর সঙ্গে। কিন্তু রাজ্যপাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করাতেই নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে।