দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কলকাতার মুচিপাড়া এলাকায় একটি বাড়ি থেকে এক বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ।আর মায়ের দেহ ‘আগলে’ বাড়িতে ছিলেন ছেলে। স্থানীয়দের দাবি, মা-ছেলে দুজনই মানসিকভাবে অসুস্থ। ছেলের হাতেই হয়তো খুন হয়েছেন মা। তবে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। আর অভিযুক্ত ছেলেকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম শিখা মুখোপাধ্যায় (৭০)। পুত্র অভিষেক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুচিপাড়ার ওই বাড়িতে থাকতেন বৃদ্ধা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, মানসিক ভাবে স্বাভাবিক ছিলেন না বৃদ্ধা। তাঁর পুত্রেরও মানসিক সমস্যা রয়েছে। ফলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশাও ছিল না ওঁদের দু’জনের।প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে পাড়ায় বেরোতেন বৃদ্ধা। কিন্তু স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গত ৩-৪ দিন ধরে বৃদ্ধাকে বাড়ির বাইরে বেরোতে দেখা যায়নি। বাড়ি থেকে কোনও সাড়াশব্দও পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার রাতের দিকে স্থানীয়রা এলাকায় পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন। কোথা থেকে আসছে, তা খোঁজ করতেই তাঁরা দেখেন, গন্ধটা আসছে বৃদ্ধার বাড়ি থেকে, তখনই তাঁদের সন্দেহ হয়। পুলিশকেও খবরও দেন স্থানীয়রা।
এরপর সোমবার গভীর রাতে পুলিশ এসে বৃদ্ধার বাড়িতে দরজা ভেঙে ঢোকে। বাড়ির এক তলার কোনায় তালাবন্ধ একটি ঘর দেখতে পায় তারা। গন্ধ আসছিল সেই ঘর থেকেই। তালা ভাঙতেই মেঝেতে একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। পচন ধরে গিয়েছিল সেই দেহে। তাঁর ছেলে অভিষেকের কাছে নাম, পরিচয় জানতে চাওয়া হয়, কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা-ও জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু মায়ের পরিচয় ছাড়া অভিষেক আরও কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কীভাবে বৃদ্ধার মৃত্যু হল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বৃদ্ধার পুত্র অভিষেক। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।