প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- দ্বাদশীর সকাল থেকে ইডির হানা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে। রেশন দুর্নীতি মামলায় এই অভিযান বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইডির বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কালীঘাটে নিজের বাসভবন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বলেন, “এমনিতেই বালুর সুগার আছে, ও খুবই অসুস্থ। ও যদি মরে যায় তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে হবে, ইডির বিরুদ্ধেও অভিযোগ করতে হবে। সুলতান আহমেদকে আমরা হারিয়েছি। আমাদের সাংসদ ছিলেন। সিবিআইয়ের কাছ থেকে চিঠি পেয়েই বাথরুমে যান। সেখানেই মারা যান।”পুজোর আগে থেকেই রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির কিনারা করতে ইডি, সিবিআইয়ের তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। মহালয়ার আগেই ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, রথীন ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সকাল থেকে সন্ধে টানা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। তা নিয়ে তৃণমূল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। প্রতিটি তল্লাশি অভিযানই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক, মত শাসকদলের নেতানেত্রীদের। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীও সে বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন। খুলে বললেন ইডি, সিবিআইয়ের ‘অত্যাচার’-এর কথা।বারবার ইডি, সিবিআইয়ের তল্লাশি নিয়ে এদিন গোড়া থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”পুজোর আগে রথীনের বাড়িতে, ববির বাড়িতে গিয়েছে। আজ বালুর বাড়ি। আমাকে ববির বউ বলছিল, ইডি তল্লাশির নামে কী কী করেছে। অফিসাররা রান্নাঘরে ঢুকে চিনির কৌটো উলটে দিয়ে গিয়েছে। ঘি-এর কৌটো উলটে দিয়েছে। আলমারি খুলে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ সব দেখেছে। আরে একটা মেয়ের বিয়ে হলে অনেক শাড়ি, নানা ড্রেস, কসমেটিক্স থাকে। সেইসব শাড়ি, জামার ছবি তুলেছে। হিসেব নিয়েছে কটা শাড়ি, কটা কসমেটিক্স।” এরপর তিনি আরও বলেন, ”ওরা কাউকে গ্রেপ্তার করার পর এমন এমন সব অত্যাচার করে। প্রাইভেট জায়গায় অত্যাচার করে। আর নাম বলতে বলে। কী অত্যাচার, কী অনাচার!”এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের একেবারে শুরুতেই মমতা বলেন, সবকিছু সীমা পার করে যাচ্ছে। আজ জেলায় জেলায় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। জেলার নেতা মন্ত্রীরা সুশৃঙ্খলভাবে এই কার্নিভাল করতে যখন ব্যস্ত, তখন তাঁদের বাড়িতে গিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।