প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে। তারপর আজ, শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হয়। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর শুরু হয় সওয়াল–জবাব। আর তখনই আদালতে শুনানি চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়লেন মন্ত্রী। সওয়াল–জবাবের সময় ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন। তারপর হঠাৎ বসে পড়েন। আদালত কক্ষে অ্যাম্বুল্যান্স বলে চিৎকার শুরু হয়। মন্ত্রীর কাছে ছুটে যান তাঁর কন্যা। পুলিশ এগিয়ে এসে চেয়ারে বসা অবস্থাতেই তাঁকে বাইরে নিয়ে আসে। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। অসুস্থ বাবার চিকিৎসা করতে শুরু করেন। মাথায় জল দেন বাবার। মন্ত্রীর মেয়েকে দেখা যায় বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে। আর বলেন, ‘এখনই অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করুন।’আদালতেই অসুস্থ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এজলাসেই সংজ্ঞা হারালেন মন্ত্রী। কাঠগড়ার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন মন্ত্রী। সেইসময়ই সংজ্ঞা হারান তিনি। বিচারকের সামনে বসে পড়েন বনমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে বাবার কাছে ছুটে যান মেয়ে। অসুস্থ মন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় | আদালতের নির্দেশ, আপাতত পরিবারের পছন্দমতো বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় |সুস্থ হলে তারপর তদন্তকারী অফিসার চাইলে তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারবেন। মন্ত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়তেই আদালত কক্ষের ভিতর ২-১ জন আইনজীবী ‘শেম ইডি’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। রেশন দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে ইডি। আদালতে সওয়াল জবাবের পর বিচারক ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের পরই আদালতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আদালত সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা উঠেছে বলে দাবি করেছেন আইনজীবীরা। মেয়ে ছুটে এসে মাথায় জল দেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন বিচারক তনুময় কর্মকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কম্যান্ড হাসপাতালকে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশও দেন বিচারক। পরে যদিও সেই নির্দেশ বদলে পরিবারের পছন্দমতো বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে মন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, বাড়ির খাবার পাবেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দিনে একঘণ্টা করে আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন মন্ত্রী।