Breaking News

মাঝ রাস্তায় হার্ট অ্যাটাক!গ্রিন করিডর করে বৃদ্ধকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটলেন পুলিশকর্তা, বাঁচালেন প্রাণ

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন স্বামী স্ত্রী। মাঝপথে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিশ্বনাথ দাস নামে ওই ব্যক্তি। হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। স্বামীর এহেন অবস্থায় কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না স্ত্রী। তবে কর্তব্যরত ট্রাফিক ওসি সৌভিক সরকারের প্রচেষ্টায় তৈরি হয় গ্রিন করিডোর। তিনি নিজে পুলিশের গাড়িতে করে অসুস্থ বিশ্বনাথবাবুকে পৌঁছে দিলেন মেডিক্যাল কলেজে। ওসি-র এহেন ভূমিকায় তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী।পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধের নাম বিশ্বনাথ দাস। বয়স ৬০ বছর। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী তিনি। সোমবার হাওড়ার তাঁর স্ত্রীর কর্মস্থলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে বিকেল ৫টা নাগাদ হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন ব্রেবোর্ন রোড সেতুর উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ব্যক্তিগত গাড়িতেই ছিলেন বিশ্বনাথ এবং তাঁর স্ত্রী। আচমকা সেতুর উপরেই বিশ্বনাথ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। মাঝরাস্তায় গাড়ি থেমে যায়। তাঁর স্ত্রী বাইরে বেরিয়ে চিৎকার করে সাহায্যের জন্য আবেদন জানাতে থাকেন।খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান হাওড়া ব্রিজের ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসার ইন-চার্জ সৌভিক চক্রবর্তী। তিনি দেখেন, বৃদ্ধ দরদর করে ঘামছেন। তাঁর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে আর দেরি করেননি ওই পুলিশকর্তা। সঙ্গে সঙ্গে নিজের গাড়িতে তোলেন বৃদ্ধকে। গ্রিন করিডর করে তাঁকে পৌঁছে দেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ওই ব্যস্ত সময়েও ব্রেবোর্ন রোড সেতু থেকে মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছতে তাঁদের সময় লাগে মাত্র সাত মিনিট।হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের অনুরোধ করেন দ্রুত রোগিকে ভর্তি করার জন্য। সেই মতো বিশ্বনাথ দাসকে ভর্তি করে অক্সিজেন ও নিবুলাইজ়ার দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই ব্যক্তি সুস্থ রয়েছে। তিনি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানের রয়েছেন। ওসি সৌভিক চক্রবর্তীর এহেন ভূমিকায় বিশ্বনাথ দাসের স্ত্রী তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *