দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন আরও ১ অভিযুক্ত। চাকরি বিক্রির অন্যতম দালাল প্রসন্ন রায়কে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার প্রসন্ন রায়ের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি। উত্তর ২৪ পরগনাসহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকার চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাঠাতেন এই প্রসন্ন রায়। দেশে ও দেশের বাইরে তাঁর বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে ইডি ও সিবিআই | আদালত সূত্রে খবর, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি এই দুই মামলাতেই জামিন পেয়েছেন প্রসন্ন রায়। তবে এ দিনের সওয়াল জবাবে আদালত জানায় তদন্ত যেমন চলার তেমনই চলবে। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও নীলাদ্রি ঘোষ।বস্তুত, এই তদন্তে প্রসন্ন রায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসপি সিনহা, জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ শিক্ষাদফতরের একাধিক কর্তা-ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠ তিনি। চার্জশিটে সিবিআই বারংবার উল্লেখ করেছে, যাঁরা অর্থের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা মূলত প্রসন্ন রায়কেই টাকা দিতেন। এবং সেই টাকা পৌঁছে যেতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকা বিভিন্ন কর্তা ব্যক্তিদের হাতে। ফলে তাঁর জামিন তদন্তের ক্ষেত্রে বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এখন দেখার সিবিআই এই জামিনের বিরুদ্ধে আবারও শীর্ষ আদালত বা একাধিক বিচারপতির বেঞ্চে আবেদন করে কি না।এদিন প্রসন্ন রায়ের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন মুকুল রোহতগি। তার পরই তাঁকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন রায়। SSC দুর্নীতিতে CBI তাঁকে গ্রেফতার করলেও পরে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতেও তাঁকে হেফাজতে নেন তদন্তকারীরা।তদন্তকারীদের দাবি, প্রসন্ন রায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। উত্তর ২৪ পরগনা ও লাগোয়া এলাকার চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পাঠাতেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এই নিয়ে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি জামিন পেলেন। এর আগে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ও ওএমআর শিট পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সংস্থা নাইসার কর্তা নীলাদ্রি দাস জামিন পেয়েছেন।