দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইডিকে রিপোর্ট দিয়ে একথা জানাল এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। যদিও এসএসকেএম-এর এই রিপোর্ট মানতে নারাজ ইডি। আদালতের নির্দেশে বলীয়ান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা চলতি সপ্তাহেই সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চান।মানসিক চাপে রয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই কারণেই তিনি গলার স্বরের নমুনা দিতে পারছেন না। এমনটাই দাবি এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ইডি। তারা জানিয়েছে, অকারণে এই প্রক্রিয়াটিতে দেরি করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ না করার জন্য যে যুক্তিগুলি দিচ্ছেন, তা ভিত্তিহীন। যে মেডিক্যাল বোর্ড ‘কালীঘাটের কাকু’কে দেখছে, তার নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আদালতে ইডি এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, স্বরের নমুনা নিতে বাধা দিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ আসলে ইডির কাজে এবং বিচারপ্রক্রিয়াতেই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।অতীতেও এসএসকেএম হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন এই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, সে সময়ে হাসপাতালের সিদ্ধান্ত এবং বক্তব্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে গিয়ে পার্থের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। ‘কাকু’র ক্ষেত্রেও একই সন্দেহ দানা বেঁধেছে।গত ৩০ মে ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ। তার আগে কাকুঘনিষ্ঠ হাওড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, এই যুবকের মাধ্যমেই নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লেনদেন করতেন সুজয়। ওই যুবকের ফোন থেকে একটি কল রেকর্ডিং পাওয়া যায়। যাতে সুজয়কৃষ্ণকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে ফেলো।’ সেই বক্তব্য কাকুরই কি না তা জানতে গত ৬ মাস ধরে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছে ইডি। ওদিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সুজয়কৃষ্ণকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করে রেখেছে জেল কর্তৃপক্ষ।