প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- পোষ্য বিড়ালকে বাঁচাতে গিয়ে আট তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। ঘটনা দক্ষিণ কলকাতার লেক অ্যাভিনিউর এক আবাসনের। সোমবার সকালে এই ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। বিড়ালপ্রেমের এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউ।সন্ধ্যা থেকেই পোষা বিড়ালটিকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না মালকিন। এপাশ-ওপাশ সব জায়গায় খুঁজেছেন। কিন্তু কোথাও কোনও সূত্র মেলেনি। সকালে বারান্দা থেকে ঝুঁকে দেখতে পেয়েছিলেন কার্নিশের ওপর লুকিয়ে বসে সেই বিড়াল। তাকে উদ্ধার করে ছাদে যান বছরের ছত্রিশের মহিলা। আট তলার ছাদ থেকে কার্নিসেও নামেন। কিন্তু মালকিনকে দেখে এক কার্নিশ থেকে অন্য কার্নিশে লাফিয়ে চলে যায় বিড়ালটি। আর তিনি লাফাতে গিয়ে দুই কার্নিশের ফাঁক থেকে নীচে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই শেষ। মাথা-মুখ থেঁতলে গিয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকে লেক অ্যাভিনিউ এলাকার একটি বহুতলের বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অঞ্জনা দাস। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অঞ্জনার বাড়ি শরৎ বোস রোডে । মাস দুয়েক ধরে মাকে নিয়ে এই বহুতলে ভাড়া থাকছিলেন ওই মহিলা। পড়শিরা জানাচ্ছেন, তাঁদের অনেকগুলি পোষা বিড়াল ছিল। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই একটি বিড়ালকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না । আবাসনের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজেন মহিলা। সকালে অঞ্জনা দেখতে পান, ওই আবাসনেরই একটি কার্নিশে বসে রয়েছে বিড়ালটি। তিনি ছাদ থেকে সেই কার্নিশে নামেন। বিড়ালটি অন্য কার্নিশে যেতেই লাফ দিতে গিয়ে পড়ে যান অঞ্জনা।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পোষ্যদের খুব ভালোবাসতেন অঞ্জনা। তাদের প্রতি খুব যত্নশীল ছিলেন। কিন্তু সেই পোষ্যপ্রেম তাঁর মৃত্যুর কারণ হবে তা মেনে নিতে পারছেন না কেউ।অভিজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধরণের পরিস্থিতিতে দমকলকে খবর দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু প্রশিক্ষণ ও উপযুক্ত যন্ত্রপাতি না থাকলে নিজে ঝুঁকি নিয়ে পোষ্যকে উদ্ধার করতে যাওয়া যে কোনও সময় প্রাণঘাতী হতে পারে।