দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-ফের বাধা কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠ স্বরের নমুনা সংগ্রহে। শুক্রবার সকালে ইজির আধিকারিকরা পৌঁছনোর কয়েক ঘণ্টা আগে গভীর রাতে তাঁকে স্থানান্তর করা হল আইসিইউতে। তবে কেন তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হল তা এখনো জানা যায়নি। কাকুকে আইসিইউতে যে বেডে ভর্তি করা হয়েছে সেটি শিশুদের জন্য সংরক্ষিত বলে সূত্রের খবর।ইডি সূত্রে খবর, হাসপাতালের তরফে কাকুর চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। পাশাপশি জানানো হয়েছে, আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন আছেন সুজয়কৃষ্ণ। ইডি আধিকারিক মিথিলেশ কুমার বলেন, “আজ হবে না। কবে হবে তাও জানি না। যখন এরা বলবে। কিছু মেডিক্যাল গ্রাউন্ডের কথা এরা বলছে। আইসিসিইউয়ে আছেন উনি। কাল ছিলেন না, আজ আছেন।”পরিকল্পনা ছিল, এদিন সকালে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে যাওয়া হবে জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর অনুমতি দিলে এদিনই তাঁর কন্ঠস্বর পরীক্ষা করত ইডি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তীব্র বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাঁকে পাঠানো হয় আইসিইউতে। ১৮ নম্বর বেডে রয়েছেন তিনি। এদিকে শুক্রবার সকালেই পরিকল্পনামাফিক ৫জি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছেছেন ইডি আধিকারিকরা। রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। তবে বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে এদিনও কন্ঠস্বর পরীক্ষা করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে? কাকুর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। অথবা যেতে পারে আদালতে। এসএসকেএম হাসপাতালের তরফে শুক্রবার যে চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি দেওয়া হয়েছে, সেই সব নথি এবং বৃহস্পতিবার কালীঘাটের কাকুর আচমকা অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে ভর্তি হওয়া, সব কিছু উল্লেখ্য করে ফের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পথও থাকছে ইডির।