প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট পেশ করল ইডি। চার্জশিটে নাম রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও রেশন ডিলার বাকিবুর রহমানের। দু’জনেই আপাতত জেলে আছেন। এছাড়া ১০টি সংস্থার নাম রয়েছে চার্জশিটে। মঙ্গলবার সকালে বিশেষ ইডি আদালতে চার্জশিট পেশ করে ইডি। প্রসঙ্গত, রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় প্রথমে বাকিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাকিবুরকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত অক্টোবর মাসে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে হানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। তারপর শুরু হয় ইডির জিজ্ঞাসাবাদ। ইডির দাবি, এই মামলার তদন্ত যত এগিয়েছে, তত স্পষ্ট হয়েছে রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয়–বাকিবুরের যোগসাজশের বিষয়টি। এদিন চার্জশিটেও সেই যোগসাজশের উল্লেখ রয়েছে বলে খবর।
কী কী উঠে এসেছে চার্জশিটে?
রেশন বণ্টনে ১০০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি হয়েছে। যার মধ্যে ৩৬ কোটি টাকা বেনেফিশিয়ারি হয়েছে মন্ত্রী |
জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা দু’কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জ্যোতিপ্রিয়, বাকিবুর সহ ১২ জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ১০টি সংস্থার নাম। এর মধ্যে রয়েছে বাকিবুরের সংস্থা। এর মধ্যে তিনটি সংস্থা দিয়ে টাকা নয়ছয় করা হত।
বাকিবুরের কাছ থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা গিয়েছে বালুর কাছে।চার্জশিটে এক আইএএস অফিসারের নাম সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ওই অফিসার খাদ্য দফতরে কর্মরত ছিলেন।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্তও চলছিল রেশনের এই দুর্নীতি।
১৬২ পাতার চার্জশিটে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তবে তদন্তের শেষে টাকার এই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে ইডি। এই মামলার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ২২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।