Breaking News

‘ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ জীবিত নেই, তাঁকেও অভিযুক্ত করতেন’!পুলিশকে চরম ভর্ৎসনা বিচারপতির

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কলকাতা হাইকোর্টে আপাতত স্বস্তি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। আপাতত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। আদালতের নির্দেশ ছাড়া চার্জশিট বা কোনও চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া যাবে না বলেই অন্তর্বর্তী নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ জীবিত নেই, তাঁকেও অভিযুক্ত করতেন” |পুলিশের আচরণে কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর লেখা চিঠি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেখানে রবীন্দ্রনাথের লেখা প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার কথা ছিল। এদিন সেই চিঠি দেখে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এটায় ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ কী আছে?’ রাজ্য উত্তর দেয়, ‘তদন্ত করে দেখতে হবে।’ এই উত্তর শুনেই বিরক্ত হন বিচারপতি। বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, “আপনারা আগে ধারা যোগ করে দেন, পরে তদন্ত করে দেখেন আদৌ ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ কি না? ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ জীবিত নেই। কী যে করতেন? তাঁকেও অভিযুক্ত করে দিতেন।” বিচারপতির মন্তব্য, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন, তার মানে এই নয় যে সেই চিঠিতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হতে পারে।বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগগুলির মধ্যে একটি হল তিনি টোটোচালককে টোটো চালাতে বাধা দিয়েছেন। অভিযোগ শুনে বিচারপতির মন্তব্য, “এই সব অভিযোগ করে আপনারা রাজ্য সরকারকে অপমান করছেন। বিশ্বাস করি না রাজ্যের উচ্চপদস্থ কেউ এগুলো আপনাদের করতে নির্দেশ দিতে পারে।” সওয়াল জবাব শেষে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আপাতত স্বস্তি দেন বিচারপতি। আগামী ১১ জানুয়ারি বিকেল তিনটেয় এই মামলার রায়দান করবে হাইকোর্ট।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *