নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা :- জগদ্দলে ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় গ্রেফতার বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপো। সঞ্জিত সিং ওরফে পাপ্পুকে গ্রেফতার করেছে ব্যারাকপুর ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা। পাপ্পু আইনজীবী জানিয়েছেন, অন্য একটি মামলায় তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। তারপর তাঁর মক্কেলকে বেআইনিভাবে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।গত ২১ নভেম্বর ভাটপাড়া পুরসভা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুরানি তালাব সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে বাড়ির সামনে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তিনদিনের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরতে বারাকপুর কমিশনারেটের ডিডিকে তদন্ত ভার দেওয়া হয়। সেই সময় জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের দলীয় কর্মী খুনের এই ঘটনায় নিশানা করেন দলের নেতা বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে।
দাবি করেন, সাংসদের পরিবারের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এখানেই শেষ নয়, সরাসরি পাপ্পু সিংয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।তারপর বেশ কিছুদিন পেরিয়েছে। একে একে বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, তাঁদের জেরা করতেই উঠে আসে সঞ্জিত সিং যোগ। বৃহস্পতিবার অর্জুন সিংয়ের ভাইপোকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। যদিও সাংসদের দাবি সঞ্জিতকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, সোমনাথ শ্যাম আগেভাগে কীভাবে জানলেন কে জ়ড়িত? পালটা অর্জুনের খোঁচা, তবে কি বিধায়কই জড়িত? গ্রেপ্তারিকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে জগদ্দল চত্বরে। প্রসঙ্গত, নভেম্বরে ন’টি গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যু হয় ভিকি যাদব নামের ৩৫ বছর বয়সি যুবক ভিকি যাদবের। তিনি এলাকায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, ২৫ বছর আগে ভিকি যাদবের বাবাও গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে খুন হন। তিনি এক পুলিশ কর্মী খুনের আসামী ছিলেন। অন্যদিকে, ভিকির কাকার মৃত্যু হয় পুলিশি এনকাউন্টারে। সেক্ষেত্রে পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই খুন কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।