দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- প্রয়াত শ্রী সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সম্পাদিকা প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা মাতাজি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। বয়সজনিত কারণে দীর্ঘদিন তিনি অসুস্থ ছিলেন। রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা মাতাজি প্রয়াণে ভক্তদের মধ্যে নেমেছে শোকের ছায়া। সোমবার সকাল সাতটা থেকে তাঁর নশ্বর দেহ সারদা মঠের স্কুল ভবনে শায়িত। ভক্তরা সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।মঠ মিশনের মধ্যে শুধু নয়, সাধারণ মানুষের কাছেও অত্যন্ত প্রিয় মানুষ ছিলেন প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা। গত ২২ অক্টোবর তিনি বুকে যন্ত্রণা অনুভব করেন। তার সঙ্গে তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁর অবস্থার ক্রমেই অবনতি হচ্ছিল। এরপর তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। ক্রমেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর রবিবার সকালে তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিয়েই দক্ষিণেশ্বরের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তাঁর দেহ শায়িত ছিল দক্ষিণেশ্বর মঠের প্রধান কার্যালয়ে। বহু ভক্ত এদিন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। ১৯৩১ সালে তিনি জন্মেছিলেন মহীশূরে। অত্যন্ত বিদুষী নারী ছিলেন তিনি। মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গোল্ড মেডেল পেয়েছিলেন তিনি। ইতিহাসে স্নাতকোত্তর পান তিনি। ১৯৫৭ সালে তিনি সারদা মঠে যোগ দিয়েছিলেন। স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দের কাছ থেকে তিনি দীক্ষা নিয়েছিলেন। ১৯৬৫ সালে ভারতীপ্রাণা মাতাজির কাছ থেকে তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৯৪ সালে তিনি সঙ্ঘের সহ সম্পাদক হয়েছিলেন। তবে ১৯৯৯ সালের অগস্ট মাসে প্রব্রাজিকা মোক্ষপ্রাণা মাতাজির প্রয়াণের পরে সেই স্থানটি শূন্য হয়ে যায়। এরপর অমলপ্রাণা মাতাজি ওই পদে আসীন হন। এরপর অত্যন্ত সুচারুভাবে তিনি মঠ ও মিশনের কাজ দেখাশোনা করতেন। তাঁর মিষ্টি ব্যবহারে মুগ্ধ ছিলেন আপামর মানুষ। কাশীপুর মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য।