প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-তৃণমূলের অন্দরে নবীন এবং প্রবীণদের দ্বন্দ্ব নিয়ে যে জল্পনা ছড়িয়েছে, সেই জল্পনায় নয়া মাত্রা যোগ করলেন দলের বিধানসভার উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। উত্তর কলকাতার সাংসদ তথা জেলা সভাপতি সুদীপ বন্দ্যপাধায়্যকে একহাত নিলেন তাপস। রীতিমতো বয়স তুলে প্রবীণ নেতাকে খোঁচা দিয়েছেন বরানগরের বিধায়ক।সোমবার অর্থাৎ তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে সুদীপ একটি বেফাঁস মন্তব্য করেন। বর্ষীয়ান সাংসদ বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে থেকে যেত। যার তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে কুণাল ঘোষের তরফে। তিনি পালটা বলেন, “কিছু নেতা অতিরিক্ত আনুগত্য দেখাতে গিয়ে দলে বিভ্রান্তি তৈরি করছেন। দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের ঝাঁজ কতটা ছিল সেটা সুদীপবাবু নিজেও দেখেছেন।” এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে তাপস রায় সুর আরও চড়ালেন। তিনি কটাক্ষের সুরে বললেন, “সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সর্বভারতীয় স্তরের একজন অত বড় নেতা থাকতে বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হবে কেন!”গতকাল থেকেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নেমেছেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। গতকালই বলেছিলেন চাটুকারিতাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন সুদীপ। আজ বললেন, আমি সুদীপের জ্ঞান শুনে চলব? ওকে তুষ্ট করে আমাকে চলতে হবে? আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে দল করি? দলে কিছু লোক বিভাজন করতে চাইছে। তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুদীপ ভুলে গিয়েছে ওর থেকে বেশিদিন তৃণমূল করি। উত্তর কলকাতা জুড়ে গোষ্ঠীবাজি করছে। গত ১৫ বছর ধরে আমার সঙ্গে অসভ্যতা করছে।উত্তর কলকাতার সাংসদের সাংগঠনিক দক্ষতা এবং বয়স দুই নিয়েই এদিন কটাক্ষ করেছেন তাপস। আগের বক্তব্যের সঙ্গে তাঁর সংযোজন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়না থাকলে মানে কী! বালাই ষাট। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা মুখে আনছেন কী করে! উনি তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে দশ বারো বছরের বড়।” তাপসের সাফ কথা, সুদীপ মাঠে ময়দানে রাজনীতি করার লোক নন। কোনওদিনই মাঠে নেমে সংগঠন করেননি।