দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- গড়িয়ায় বাবা-মা-ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। গড়িয়া স্টেশনের কাছে আবাসনে উদ্ধার দেহ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। একটি তিনতলা আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার পুলিশের। ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে তিনটি দেহ উদ্ধার করে। আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক অনুমান নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের। কী কারণে মৃত্যু খতিয়ে দেখছে পুলিস। সূত্রের খবর, এই আবাসনেই এক বয়স্ক দম্পতি ও তাঁদের ছেলে থাকতেন। তিনজনেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করছেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু, কেন আচমকা বাড়ির সবাই একযোগে আত্মহত্যা করতে গেলেন তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে মৃত্যুর পিছনে আর অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের। মৃত্যু হয়েছে স্বপন মৈত্র (৭৫), অপর্ণা মৈত্র (৬৯) ও তাঁদের ছেলে সুমন রাজ্য মৈত্রের।স্বপনবাবু পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।গত ২৮ ডিসেম্বর শেষবার দেখা গিয়েছিল তাঁদের।
বার বার ফোন করেও ওই পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বৃদ্ধার ভাই বুধবার সকালে গড়িয়ার ফ্ল্যাটে আসেন। দরজা বন্ধ আর বিকট গন্ধ পেয়ে তাজ্জব হয়ে যান। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনজনের দেহ আলাদা আলাদা ঘরে ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করলেন তাঁরা, তা স্পষ্ট নয়। প্রতিবেশীরা জানান, প্রবীণ দম্পতি সেভাবে কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না। তবে তাঁদের ছেলে সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন।ঘটনার আকস্মিকতায় শোকে পাথর অপর্ণা মৈত্রের ভাই দেবাশিস ঘোষ। তিনি বলেন, “আমার দিদি জামাইবাবু ২ জনেই অসুস্থ ছিলেন। জামাইবাবুর কয়েক বছর আগে বাইপাস সার্জারিও হয়। তারপর থেকে শরীরটা বিশেষ ভাল ছিল না। ওদেরকে দেখার জন্যই আমার ভাগ্নে পুরোপুরি বাড়িতে থাকত। আমি তো শেষ ২৮ তারিখ এসেছিল। তখনও কিছু বুঝিনি। কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। নিজের হাতে কেক বানিয়ে খাইয়েছিল আমার ভাগ্নে। আজ খবর পেয়ে এসে দেখি এই ঘটনা। কেন করল, কী করল কিছুই বুঝতে পারছি না।”