Breaking News

“বিজেপি করলে সাতখুন মাফ”, রানাঘাটের সভা থেকে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রজত সেন:- আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই জমিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে তৃণমূল সরকার, অন্যদিকে নিজেদের পথের কাঁটা উপড়ে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করছে না গেরুয়া শিবির। এমনকি নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এই রাজ্যে নিজেদের স্থানকে পাকাপাকিভাবে টিকিয়ে রাখার জন্য একাধিক মিছিলও করেছে দুই দল। এদিন ভোটের আগেই আরো একবার গর্জে উঠলো মমতা সরকার। আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে বাক্যবাণে নিশানা করে ফের একাধিক মন্তব্য করেন। এদিন নদীয়ার রানাঘাট ছাতিমতলা ময়দান থেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা নেতা-মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে ফের গর্জে ওঠেন জননেত্রী। এদিন রানাঘাট থেকে প্রতিবাদের ভাষায় তিনি একাধিক ইস্যু তুলে ধরেন। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, “বিজেপি করলে সাতখুন মাফ, আর অন্যেরা করলে বন্ধ ঝাঁপ। যদি কালো টাকা সাদা করতে চাও তবে বিজেপি তে যাও, সঞ্চিত টাকা অক্ষত রেখে যদি দুই নম্বরী করতে চাও তবে বিজেপিতে যাও। কয়েকজন ব্যক্তি, যারা ইতিমধ্যেই অনেক টাকা রোজগার করেছেন, তাদেরকে সিবিআই, ইডির ভয় দেখিয়ে নিজেদের দলে যোগদান করতে বাধ্য করেছে বিজেপি। বিজেপিকে নিন্দার সুরে একাধিক কথা শোনানোর পাশাপাশি জননেত্রী জানান, “বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা পেতে হলে, যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হলে পুনরায় এই রাজ্যে তৃণমূলকেই আনতে হবে। এছাড়াও ভবিষ্যতে যুবশ্রী প্রকল্প থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সুযোগ-সুবিধা পেতে হলে আগামী নির্বাচনে রাজ্যবাসী কে তৃণমূলে ভোট দিতে হবে।”

এমনকি জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া থেকে সমাজের একাধিক বিষয় নিয়েও বিজেপিকে এদিন কথা শোনাতে ছাড়েন নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষক আন্দোলন নিয়ে এদিন মমতা বলেন, “নিজেদের সৃষ্টি করা ফসলের উপর কোন অধিকার থাকবে না কৃষকদের। এছাড়াও কেন্দ্রীয় জনবিরোধী কৃষি আইনকে কোনভাবেই এই রাজ্যে বাস্তবায়িত করতে দেবেন না বলেও দাবি করেন তিনি।” অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের ট্যাব দেওয়ার পাশাপাশি, গরীব মানুষদের রেশন দেওয়ার বিষয় নিয়েও তিনি অনেক কথা বলেন। এমনকি তিনি আরো জানান তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এই রাজ্যে মতুয়া সম্প্রদায় ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষজনদের জন্য আলাদা আলাদা বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল সরকার। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করাতে গিয়ে কোন বেসরকারি হাসপাতাল নার্সিংহোম কতৃপক্ষ সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করলে সরাসরি পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানান জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *