প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :- বৃহস্পতির সন্ধেয় আচমকা গোলপার্কে শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে হাজির কুণাল ঘোষ। ঘড়িতে তখন প্রায় পৌনে সাতটা। আর এখন সাড়ে ন’টা পেরিয়ে গিয়েছে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে শোভন-বৈশাখীর ফ্ল্যাটে রয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুধুই কি সৌজন্য সাক্ষাৎ? নাকি নেপথ্যে রয়েছে রাজনীতির অন্য কোনও রসায়ন? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।দীর্ঘক্ষণ শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক৷ তাৎপর্যপূর্ণভাবে কুণালের উপস্থিতিতেই শোভন এ দিন দাবি করেছেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন৷ বিজেপিতে যাওয়া তাঁর বড় ভুল ছিল৷ আবার কুণালও জানিয়ে দিয়েছেন, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায় দলে ফিরলে ভাল লাগবে |তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |’ আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশংসায় ভরিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় | শোভনের সঙ্গেই বিজেপি-তে গিয়েছিলেন বৈশাখীও | নানা ইস্যুতে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় শোভন এবং বৈশাখীর | জল্পনা থাকলেও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শোভন বা বৈশাখী কাউকেই টিকিট দেয়নি গেরুয়া শিবির | এর পরেই বিধানসভা নির্বাচনের আগেই একসঙ্গে বিজেপি ছাড়েন শোভন এবং বৈশাখী | দলে না থাকলেও গত দু বছর মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে ভাই ফোঁটা নিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় কানন৷ এমন কি, ২০২২ সালের জুন মাসে নবান্নে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন শোভন- বৈশাখী | কিন্তু এত কিছুর পরেও আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দেননি শোভন | লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের একদা ঘরের ছেলে ফের জোড়াফুলের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন ঘটান কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয় |