Breaking News

সন্দেশখালির ঘটনায় মার খেয়ে হাসপাতালে ইডি আধিকারিকরা, তাঁদের বিরুদ্ধেই মামলা করল শাহজাহানের পরিবার!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তল্লাশি চালাতে গিয়ে সরবেড়িয়ায় আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। এই ঘটনার পর তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। এবার আরও নজিরবিহীন ঘটনা! সরবেড়িয়ায় গিয়ে মাথা ফাটল যাঁদের, সেই ইডি আধিকারিকদেরই বিরুদ্ধে মমলা রুজু হল। নিখোঁজ শেখ শাহজাহানের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে।জানা গেছে, শাহাজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের ভিত্তিতে ন্যাজাট থানার পুলিশ এফআইআর রুজু করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কী অভিযোগ তুলেছেন শাহাজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকার? সূত্রের খবর, এফআইআর কপিতে উল্লেখ আছে আগে থেকে না জানিয়েই শুক্রবার শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে আসে ইডি। তারপর ওয়ারেন্ট ছাড়াই তালা ভেঙে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়েন ইডি আধিকারিকরা।তৃণমূল নেতার পরিবারের দাবি, ইডি আধিকারিকদের কাছে কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছিল না। তারপরও তাঁরা তালা ভেঙে ঘরে ঢুকেছেন। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা রুজু করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও দুটি এফআইআরও করা হয়েছে।

তবে এই ঘটনার পর জেলা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিন ইডি আধিকারিক। ইট-বাঁশের আঘাতে মাথা ফাটে তাঁদের। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। ভাঙচুর করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গাড়িটিও। জওয়ানরা আহতও হন। কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।বস্তুত, রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়ে এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে হয় ইডি আধিকারিকদের। যে সময় তাঁরা শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছন সেই সময় দরজা বন্ধ ছিল ভিতর থেকে। শাহজাহানের দেখা মেলেনি। ইডির অফিসাররা ও সিআরপিএফ-এর জওয়ানরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন বাইরে। দরজা খোলার জন্য বলছিলেন। কিন্তু এসবের মধ্যেই মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে এক দল উন্মত্ত জনতা লাঠি-ইট-পাটকেল নিয়ে ঘিরে ফেলেন ইডির অফিসারদের। তদন্তে নেমে যে সরকারি আধিকারিকরা মার খেলেন, রক্তাক্ত হলেন তাঁদের বিরুদ্ধেই মামলা হওয়ায় কার্যত প্রশ্নের মুখে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *