দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর। জানিয়ে দিল, অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদের দায়িত্ব সামলাবেন বুদ্ধদেব সাউই। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে চিঠি পাঠিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। তাতেই বলা হয়েছে, গত ২৩ ডিসেম্বরের চিঠিতেই দফতর নিজের অবস্থান জানিয়েছে। ওই চিঠিতেই বুদ্ধদেব সাউকে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অপসারণের নির্দেশ দেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। পাল্টা প্রশ্ন তুলে উচ্চ শিক্ষা দফতর জানাতে চায় একক ভাবে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের বৈধতা কোথায়?সেই দিনই উচ্চশিক্ষা দফতর বুদ্ধদেব সাউকেই উপাচার্যের ক্ষমতার ব্যবহার ও দায়িত্ব পালন চালিয়ে যেতে বলে। তারপরও পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের মধ্যে উপাচার্য পদ নিয়ে বিভ্রান্তি থেকে যায়।
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক অনুমোদনকারী কে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।এই বিভ্রান্তি কাটাতে উচ্চশিক্ষা দফতরের চিঠি পাঠান রেজিস্ট্রার। সেই চিঠির উত্তর আসে শুক্রবার। উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় বিভ্রান্তির কোনও কারণ নেই। কারণ আগেই দফতর থেকে জানিয়ে ছিল বুদ্ধদেবই থাকছেন অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে। আচার্য-রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের নির্দেশে রাজভবনের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারির স্বাক্ষরিত চিঠিটি পাঠানো হয়েছে যাদবপুরের সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত ও রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে। তাতে বলা হয়েছে, বুদ্ধদেব সাউকে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া যাবে না। এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে যাতে অনুমোদিত কর্তৃত্ব না ফলান, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে রেজিস্ট্রার ও সহ-উপাচার্যকে। তাঁদের থেকে কমপ্লায়েন্স রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে রাজভবন থেকে। এর প্রেক্ষিতে বুদ্ধদেব সাউয়ের বক্তব্য, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবথেকে বড় বডি কোর্টের প্রত্যেক সদস্য তাঁর চিঠি অমান্য করে, রাজ্য সরকারের চিঠিকে মান্যতা দিয়েছে। সেই কোর্টের বিরুদ্ধে ওঁর একটাও কথা নেই। ব্যক্তি বুদ্ধদেব সাউয়ের পিছনে কেন পড়েছেন? এ তো দুর্বলের উপর সবলের আক্রমণ।”