প্রসেনজিৎ ধর:-বিজেপির ন্যাজাট থানা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধল রাজপথে। সন্দেশখালিতে তৃণমূলি গুন্ডা শাহজাহান শেখের নেতৃত্বে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ন্যাজাট থানা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি | বিজেপির কর্মসূচির আগের দিনই ন্যাজাট থানা থেকে এক কিলোমিটার ব্যসার্ধে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। যদিও সেই নির্দেশিকাকে জালি ১৪৪ ধারা বলে কটাক্ষ করেন সুকান্তবাবু। ব্যারিকেডের সামনেই অবস্থানে বসেন সুকান্ত।
“যেভাবেই হোক ন্যাজাট থানায় ডেপুটেশন জমা দেব”, বৃহস্পতিবার সকালে হুঙ্কার দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। নির্দিষ্ট কর্মসূচি অনুযায়ী দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ন্যাজাট থানা অভিযান করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তবে পুলিশের তরফেও বিজেপিকে রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ন্যাজাট থানা থেকে ১ কিমি দূর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ওই এলাকায় সুকান্ত-সহ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশি বাধা অগ্রাহ্য করে একের পর এক ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মী।
পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত। অভিযোগ, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের প্রতিহত করতে মহিলা পুলিশকর্মীদের এগিয়ে দেওয়া হয়। পরে রাস্তার উপর ব্যারিকেডের সামনেই বসে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।পুলিশকর্তাদের সঙ্গে রেশন দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানো তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের যোগসাজশের কথা উল্লেখ করেন সুকান্ত। প্রমাণ হিসাবে নিজের মোবাইলে থাকা ছবিও দেখান তিনি। উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের খোঁজে ইডি যায়। এর পর শাহজাহানের অনুগামীদের হামলার শিকার হন আধিকারিকরা। তারপর থেকেই ফেরার দাপুটে তৃণমূল নেতা। বিজেপির দাবি, পুলিশের সহযোগিতায় গা ঢাকা দিয়েছেন শাহজাহান। তাঁকে ‘সবুজ দ্বীপের রাজা’ বলেও কটাক্ষ সুকান্তর। পুলিশ সুপারের পদত্যাগও দাবি করেন তিনি। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে শাহজাহানের বাড়িতে বুলডোজার চলবে বলেই হুঙ্কার সুকান্তর।