দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- এক দিনের ঝটিকা সফরে কলকাতায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। শনিবার সকালে কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য সম্প্রচার এবং যুব কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কলকাতায় তিনি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন তিনি। তবে এদিন কলকাতায় নেমেই রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেস সহ একযোগে ইন্ডিয়া জোটের উদ্দেশে আক্রমণ শানান তিনি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কড়া সমালোচনার সুর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের গলায়। আজই কলকাতায় এসেছেন তিনি। আর বিমানবন্দরের বাইরে পা রেখেই সাংবাদিকদের প্রশ্নে কার্যত তুলোধনা করলেন রাজ্য সরকারকে। বললেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’কলকাতায় পা রেখেই রাজ্য সরকারকে পুরোপুরি অল আউট অ্যাটাকের মুডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিঁধতে ছাড়লেন না। বললেন, “দুর্নীতিগ্রস্তদের আশ্রয় দেয় পশ্চিমবঙ্গের সরকার। নিজের মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কদের উপর কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই? তিনি কি লুঠের জন্য ছাড় দিয়ে রেখেছেন? নাকি তাঁর কথা তাঁর দলের লোকেরা শোনে না? লুঠের বিরুদ্ধে তদন্ত হলে, তদন্তকারী অফিসারদের উপর তাঁর দলের গুন্ডা, নেতারা আক্রমণ চালায়। এটা গোটা দেশে আর কোথাও হয় না, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া।” সম্প্রতি সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনা নিয়েও রাজ্যকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য, ‘আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার এক ভয়ঙ্কর সমস্যা রয়েছে এখানে। বার বার তার উদাহরণ দেখা যাচ্ছে। যদি দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়, তাহলে ইডির টিমের উপরেও হামলা হচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে। মাথা ফাটানো হচ্ছে।’
দুর্নীতি ও কাটমানির ইস্যুতেও রাজ্যের শাসক দল তথা রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন অনুরাগ। সরাসরি রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বললেন, ‘মানুষের পরিষেবার জন্য যে টাকা আসে, সেই টাকার পাই পাই হজম করে নেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। এখানকার নেতা ও সরকার কাটমানির জন্য বিখ্যাত হয়ে কলকাতায় পা রেখেই রাজ্য সরকারকে পুরোপুরি অল আউট অ্যাটাকের মুডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিঁধতে ছাড়লেন না। বললেন, “দুর্নীতিগ্রস্তদের আশ্রয় দেয় পশ্চিমবঙ্গের সরকার। নিজের মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কদের উপর কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই? তিনি কি লুঠের জন্য ছাড় দিয়ে রেখেছেন? নাকি তাঁর কথা তাঁর দলের লোকেরা শোনে না? লুঠের বিরুদ্ধে তদন্ত হলে, তদন্তকারী অফিসারদের উপর তাঁর দলের গুন্ডা, নেতারা আক্রমণ চালায়। এটা গোটা দেশে আর কোথাও হয় না, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া।”