Breaking News

রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শঙ্কর আঢ্যর সূত্র ধরে আরও ৪ জায়গায় হানা ইডির, স্ত্রী, ভ্রাতৃবধূর অফিসেও তল্লাশি!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রেশন দুর্নীতির কিনারা করতে এবার ইডির নজরে ধৃত শংকর আঢ্য। তাঁর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি খুঁজতে সোমবার কলকাতার ৪ জায়গায় একযোগে তল্লাাশি শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ধর্মতলা এলাকার চৌরঙ্গী লেন, কলিন স্ট্রিট, তালতলা ছাড়াও সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে শংকর আঢ্যর চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের অফিসেও ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালিয়েছেন সকাল থেকে। অফিসের সমস্ত নথিপত্র ঘেঁটে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ধর্মতলা এলাকার মারকুইস স্ট্রিটের ‘আঢ্য ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’-এর বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের অফিসে যান ইডির আধিকারিকরা। ১১২, কলিন স্ট্রিটের কাছেই একটি হোটেলের বিল্ডিংয়ে এই অফিস।সিআরপিএফ জওয়ান নিয়েই তল্লাশিতে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এক সঙ্গে চার জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি। কলিন স্ট্রিটে অবস্থিত ‘ত্রিনয়নী ফোর এক্স প্রাইভেট লিমিটেডের’ অফিসেও সকালেই হানা দেয়। এই কোম্পানির সঙ্গে যোগ রয়েছে রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শঙ্কর আঢ্যর। তদম্তরকারী আধিকারিকরা জানতে পেয়েছেন, এই কোম্পানির মাধ্যমেও নগদে টাকা জামা পড়েছে ভারতীয় মুদ্রায়। ইডি সূত্রে খবর, এই অফিসটি শঙ্কর আঢ্যর ভ্রাতৃবধূ তানিয়া আঢ্য ও বাপ্পা রায়ের। তবে বাপ্পা রায়ের সঙ্গে শঙ্করের সম্পর্ক কী তা এখনও তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পারেনি।

সল্টলেক সেক্টর ফাইভ এ সিডকো গ্লোবাল টাওয়ার এর ১২ তলায় শংকর আঢ্যর চার্টাড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অরবিন্দ সিং -এর অফিসে সকালে হানা দেয় ইডির আধিকারিকরা। কোম্পানির দুই মালিক সুনীল ভার্মা এবং অরবিন্দ সিং। ভারতের বিভিন্ন শহরে এই চার্টাড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সংস্থার শাখা আছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে এ রাজ্যের খড়গপুর , জঙ্গিপুরে শাখা আছে। তল্লাশির সঙ্গে সংস্থার মালিক এবং কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বিভিন্ন লেনদেনের হদিশ পেতে তাদের জিজ্ঞাসবাদ করছেন ইডি আধিকারিকরা।এছাড়া, নিউমার্কেটের কাছে চৌরঙ্গী লেনে এস আর আঢ্য ফিনান্স প্রাইভেট লিমিটেড এর অফিসে ইডির আধিকারিকরা হানা দেয়। এটি শংকর আঢ্যর ফোরেক্স (বিদেশি টাকা লেনদেন) কোম্পানি বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। এই কোম্পানির ডিরেক্টর শঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য।ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্কর আঢ্যর এই মামলার সূত্র ধরে আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *