দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ শহিদ মিনারে ৩৬২ দিন ধরে অবস্থান চালাচ্ছে। সম্প্রতি তাদেরই একটি অংশ আমরণ অনশন শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকালে সেই মঞ্চে পৌঁছে বড় হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, ‘‘প্রায় ৭২ ঘণ্টা হতে চলল অনশন। এঁদের কারও যদি কিছু হয়, তা হলে বাংলায় আগুন জ্বলবে।’’ শুভেন্দুর এই মন্তব্যকে ‘গভীর চক্রান্তের ইঙ্গিত’ বলে মনে করছে রাজ্যের শাসকদল।নেতাজি জয়ন্তীতে ডিএ আন্দোলনকারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী।
৪ অনশনকারীর সঙ্গে কথা বলেন বিরোধী দলনেতা। তাঁদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর করেন। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী তোপ দাগেন, “সরকারি কর্মীরা সচেতন। সংবেদনশীল। কিন্তু ২০১৬ সালের পর তাঁরা এই সরকারের স্বরূপ বুঝেছেন। বুঝেছেন যে তাঁদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। কর্মীরা দেখেছেন আবাস যোজনা থেকে শৌচালয়। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের টাকা লুঠ হয়েছে। কর্মবিনিয়োগ কেন্দ্রে তালা-চাবি ঝুলে গিয়েছে। পিএসসি অফিস কেও বাদ দেওয়া হয়নি। মিড-ডে মিলের টাকায় কম্বল বিতরণ হয়েছে।”হুঁশিয়ারি দেন, “এদের প্রতিবাদে মমতা ব্যানার্জি আতঙ্কিত। তাই এদের তিনি পোস্টাল ব্যালটে পাবেন না। তাই এদের ওপর দমন পীড়ন নীতি নেওয়া হয়েছে। এই অনশনকারীদের কিছু হলে বাংলায় আগুন জ্বলবে। নবান্ন অভিযান করুন। অমিত শাহ বলে গিয়েছেন আমাকে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ডাকলে যাবেন। আমরা পাশে আছি। সুপ্রিম কোর্ট এবার আশা করি বিবেচনা করবে। সাহস থাকলে এদের বরখাস্ত করে দেখান। এরা প্রাণ আত্মাহুতি দিতে চায়। চাকরি যাওয়ার ভয় এরা করে না। এদের দাবি আংশিক সফল। ঠেলায় পড়ে ৩ থেকে ৪ শতাংশ ডিএ দিয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সর্বাত্মক ধর্মঘট করুন।”শুভেন্দুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘সরকারি কর্মচারীরা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের ওই মঞ্চ বিরোধীদের রাজনীতি করার মঞ্চে পরিণত হয়েছে। সেখানে গিয়ে শুভেন্দু যা বলেছেন তা রাজ্যকে অশান্ত করার কোনও গভীর চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত।’’ কুণালের আরও বক্তব্য, ‘‘পুরনো ভিডিয়ো সামনে এনে রাজ্যে অশান্তি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। এখন নতুন চক্রান্ত হচ্ছে।’’ কুণালের কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার কেন্দ্রের থেকে বকেয়া পাচ্ছে না। কিন্তু তা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মুখে কোনও কথা নেই।’’