প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির কর্তব্যপথে চলেছে রমমন্দিরের (উত্তরপ্রদেশের) ট্যাবলো। আর সেখানে কলকাতার রেড রোডের প্যারেডের মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কলকাতায় ‘একতাই সম্প্রীতি’র ট্যাবলো দেখা গেল। পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফ থেকে এই ট্যাবলোটি প্রস্তুত করা হয়েছিল। সেই ট্যাবলোতে ছিল বহু ধর্মের প্রতীকে। সেই ট্যাবলোর ছবিতে ছিল দক্ষিণেশ্বরের মন্দির, নাখোদা মসজিদ ও গির্জার ছবি। সেই ট্যাবলোর নীচের দিকে লেখা ছিল ‘একতা বৃক্ষ’। অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিনই কলকাতায় সংহতি যাত্রা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে সেই সম্প্রীতির বার্তা আরও একবার তুলে ধরলেন তিনি। তাতে বড় অক্ষরে লেখা ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। ট্যাবলোর ছবিতে ছিল দক্ষিণশ্বরের মন্দির, নাখোদা মসজিদ ও গির্জার ছবি। বহু ধর্মের প্রতীক দিয়ে সাজানো হয়েছিল ট্যাবলো। আঁকা ছিল একটি গাছের অবয়ব। যার নিচে লেখা ‘একতা বৃক্ষ’। বিভিন্ন ধর্মের শিশুদের মুখ ট্যাবলোতে ব্যবহার করা হয়েছিল। ট্যাবলোটি করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের তরফে।শুধু সম্প্রীতির ট্যাবলো নয়, ছিল একাধিক সরকারি প্রকল্পের ট্যাবলো। পথশ্রী থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার-সমস্ত সরকারি প্রকল্পের ট্যাবলো ছিল কুচকাওয়াজে। এবারই প্রথম সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তারাও কুচকাওয়াজে হাঁটলেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর উপভোক্তারা সাধারণতন্ত্র দিবসে অংশ নেন। এদিকে সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে সংবিধানের গুরুত্ব স্মরণ করান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘সংবিধান নিছক আইনজীবীর নথি নয়, এটি জীবনের চালিকাশক্তি। আজ যখন আমরা প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করছি, তখন আসুন আমরা আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমাদের সংবিধানের মূল্যবোধ রক্ষা করার শপথ নিই। যাই হোক না কেন, আমাদের কণ্ঠস্বর সর্বদা সমতা, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের আদর্শকে প্রতিধ্বনিত করবে!’