দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- মেডিক্যাল মামলা হাইকোর্ট থেকে সরল সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ। শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে এবার বড় মোড় মেডিক্যাল মামলায়। মেডিক্যাল দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলার এবার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আনার নির্দেশ। ৩ সপ্তাহের মধ্যে সব পক্ষ হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাবে। নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের।সুপ্রিম কোর্টে তিন সপ্তাহ পরে হবে বিচারপতিদের দ্বন্দ্ব মামলার শুনানি। এর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টর মেডিক্যাল ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা ট্রান্সফার করে নেবে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে জানায়, আমরা সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব, এমন কিছু করা হবে না যাতে কলকাতা হাইকোর্টর মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে- মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।এদিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বাল। তিনি বলেন, “বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় লাগাতার রাজ্য বিরোধী নির্দেশ দিচ্ছেন। একজন বিচারপতি লাগাতার এই ধরণের নির্দেশ দিয়ে চলেছেন। হস্তক্ষেপ করুন।” পাশাপাশি, কবিল সিব্বল এদিন সুপ্রিম কোর্টে আরও বলেন যে, “সংরক্ষিত আসনে আরও কিছু পড়ুয়া চেয়ে মামলা করতে চায় সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এখনও এই ধরনের মামলা গ্রহণ করছেন। ভবিষ্যতে তিনি আবারও করতে পারেন।” যার জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনি আপনার বক্তব্য রাখলেন। আমরা বিবেচনা করব।”
ওদিকে শীর্ষ আদালতের কাছে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের হয়ে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, “শুধু এই মামলা নয়, অন্য অনেক মামলাতেও আমার মক্কেলকে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।” যে পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এইগুলো দেখবেন। কোন মামলা কার বেঞ্চে যাবে সেগুলো উনি দেখবেন। তিনি হাইকোর্টের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।” তিন সপ্তাহ পরে সুপ্রিম কোর্টে ফের শুনানি।