নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা :- সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপির মিছিলে পুলিশি বাধার অভিযোগ। পুলিশ-বিজেপি কর্মী বচসায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারাকপুর স্টেশন চত্বর। বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক লাঠিচার্জ পুলিশের। জলকামানও ব্যবহার করে পুলিশ। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর বিজেপি নেতা-কর্মীদের। আহত বহু। উত্তপ্ত এলাকা। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বারাকপুরে বিজেপির পুলিশ কমিশনারের দফতর অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপির কর্মসূচিতে নির্বিচারে লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হলেন একাধিক মহিলা বিজেপি কর্মী। চিড়িয়া মোড়ের কর্মসূচি থেকে বারাকপুর স্টেশন পর্যন্ত তাড়া করে বিজেপি কর্মীদের পেটাল পুলিশ।সোমবার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে পুলিশ কমিশনারের দফতর অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি।
সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে সেই মিছিল রুখতে চার চারটে ব্যারিকেড বানিয়েছিল পুলিশ। বিটি রোড ধরে এগিয়ে মিছিল স্লোগান দিতে দিতে প্রথম দুটি ব্যারিকেড সহজেই ভেঙে ফেলে। তৃতীয় ব্যারিকেডের কাছে বিক্ষোভকারীরা পৌঁছতেই জলকামান চালায় পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। পালটা জলকামান লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। এরপর ব্যারিকেড টপকে এসে বিজেপি কর্মীদের ওপর নির্বিচারে লাঠি চালান পুলিশকর্মীরা। মহিলা বিজেপি কর্মীদের ওপর লাঠি চালান পুরুষ পুলিশ কর্মীরা। পুলিশের মারে অসুস্থ হয়ে পড়েন একাধিক মহিলা বিজেপি কর্মী।শীতের দুপুরে কাক ভেজা হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়ে বিজেপি। সব মিলিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আহত বিজেপি কর্মীদের। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। পালটা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে অভিযান। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মানুষের জীবন ব্যাহত করতে গিয়েছিল। পুলিশের দিকে ইট ছুঁড়েছে। পুলিশ তো বাধা দেবেই। সিপিএমের আমল হলে পুলিশ গুলি চালাতো, শীতলকুচি হলে সিআরপিএফ গুলি চালাতো।” ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে তিনি আরও বলেন, “শীতের দুপুরে সুকান্তবাবু স্নান করেছেন। কী আছে, সকালে তো করতে হয়নি।”