দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- অনুব্রত মণ্ডলের নিদানের প্রতিধ্বনি কুণাল ঘোষের কথায়। রবীন্দ্র সঙ্গীত নয়, বিরোধীদের চড়াম চড়াম ঢাদের বাদ্যি শোনানোর হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র। নকুলদানার পর জল দিতেও বলেছেন তিনি। রবিবার তৃণমূলের ধরনা মঞ্চ থেকে এই কথা শোনা গেল কুণালের গলায়। মুখ্যমন্ত্রী নাম ধরে যে ডেকে অশালীন ভাষায় যে সমস্ত বিরোধীরা আক্রমণ করেন, তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা করার পরামর্শ কর্মীদের দিলেন কুণাল। এ বিষয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে শুভেন্দু অধিকারীকেও তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নাম ধরে আক্রমণের জন্য।বীরভূম নেতৃত্বের সঙ্গে সদ্য দলীয় বৈঠকেও জেলা সভাপতির পদ অনুব্রতর জন্য রেখে দিয়েছেন নেত্রী। জানিয়েছেন, অনুব্রত ফিরে এলে সেই জায়গা ফের তাঁকে ফিরিয়ে দিতে হবে। নেত্রীর কথা মেনেই অনুব্রতর ফর্মুলায় বিজেপি বিরোধিতায় শান দিচ্ছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বকেয়া প্রাপ্তির দাবিতে কলকাতার রেড রোডের ধরনামঞ্চে তাই অনুব্রতর সুর শোনা গেল দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের গলায়।
বহু পরিচিত ‘নকুলদানা’, ‘চড়াম চড়াম’ বলে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।১০০ দিনের কাজ-সহ একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে রেড রোডে ধরনা শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধেবেলা তিনি ধরনা থেকে উঠে গেলেও আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত এই মঞ্চ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বিভিন্ন সংগঠনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। সেইমতো রবিবার যুব তৃণমূল নেতৃত্ব ধরনা চালিয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে মঞ্চে রয়েছেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ । এদিন সন্ধেয় সেই মঞ্চে যোগ দেন কুণাল ঘোষ। আর সেখান থেকেই দলকে ভোকাল টনিক দিতে তাঁর মুখে শোনা গেল অনুব্রত মণ্ডলের ‘চড়াম চড়াম’ স্লোগান।