দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর ভোটের মুখে এবার আরও সক্রিয় ভূমিকায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছেন তিনি। ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে ওই বৈঠকে দলের সাংসদ, বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিদের থাকতে বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। লোকসভা ভোটের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। নবীন–প্রবীণ দ্বৈরথের পর চুপচাপ ছিলেন অভিষেক। তবে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, দল যেখানে চাইবে সেখানে তিনি সভা থেকে প্রচার করতে যাবেন। তারপর আবার চুপ থাকেন তিনি। সেই আবহেই নয়াদিল্লি চলে যান সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে। সেখানে গিয়ে ঝড় তোলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।নয়াদিল্লি থেকে ফিরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। তারপর বেরিয়ে এসে আবার চুপচাপ। তার উপর তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর ধরনায় দেখতে পাওয়া যায়নি। সাংসদ সৌগত রায় আবার চাউর করে দেন, দলের সর্বভারতীয় নেতা অসুস্থ। তবে এসবের মধ্যে আবার নিজের হাতে ব্যাটন নিলেন তরুণ প্রজন্মের নেতা। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বুধবার ৬ দিনে পড়েছে রেড রোডের ধরনা। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা নেই। তাই নানা গুঞ্জন শুরু হল। আজ, বুধবার বিকেলে অভিষেকের অফিস থেকেই জরুরি বার্তা পৌঁছল দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, ব্লক সভাপতিদের কাছে। আগামী সপ্তাহের শুক্রবার জরুরি ভোটের মুখে অভিষেকের এই আরও সক্রিয় ভূমিকা নিঃসন্দেহে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।মঙ্গলবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টা বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারের আলোচনার পরই আগের মতোই স্বমহিমায় ফিরে আসেন অভিষেক।
এবার এমন আবহে রাজ্যের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক এবং জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন অভিষেক। যা লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অভিষেকের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি এই বৈঠক হবে। যেহেতু একসঙ্গে প্রায় ৪০০ জনকে নিয়ে বৈঠক করার মতো জায়গা নেই। তাই ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক হবে। ভোটের মুখে অভিষেকের এই আরও সক্রিয় ভূমিকা নিঃসন্দেহে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।