প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সারদাকাণ্ডে আরও একটি মামলা থেকে রেহাই পেলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করল সাংসদ-বিধায়ক বিষয়ক বিশেষ আদালত। পাশাপাশি দোষ কবুল করায় সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকেও এই মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছে আদালত। জানা গিয়েছে, পার্ক স্ট্রিট থানার এই মামলায় কুণালের বিরুদ্ধে ৪০৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কুণালের হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী।
কুণালের পক্ষে সওয়াল করে আইনজীবী এদিন আদালতকে জানান, ৪০৯ নম্বর ধারা তখনই বলবৎ হয়, যখন কোনও সরকারি কর্মচারী বা আধিকারিক সরকারি কোনও তহবিল তছরূপ করে থাকেন। কুণাল ঘোষ কোনও সরকারি কর্মচারি ছিলেন না। পাশাপাশি সারদার সঙ্গে কোনও সরকারি তহবিলের সম্পর্ক ছিল না। আইনজীবীর এই বক্তব্যের পর বিচারক জয়শঙ্কর রায় এদিন কুণালকে নির্দোষ হিসাবে ঘোষণা করেন। আদালত নির্দোষ করার পর স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত কুণাল ঘোষ। তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, ঈশ্বর আছেন। গত ২০১৩ সালে পার্ক স্ট্রিট থানার মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় দীর্ঘদিন ধরে শুনানি চলে। কুণালের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার এমপি এমএলএ আদালতের বিচারক জয়গোপাল রায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৪০৯ ধারাও প্রযোজ্য নয় বলেই রায় দেয় আদালত। এদিন নিজের দোষ স্বীকার করে নেন সুদীপ্ত সেন। ৪০৬ (প্রতারণা) ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছর। ইতিমধ্যে সুদীপ্ত সেন তার বেশি সময় জেলবন্দি। তাই তাঁর গিলটি পিটিশন গ্রহণ করে, মামলা থেকে মুক্ত বলে রায় দেন বিচারক।উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে সারদার আরেকটি মামলায় স্বস্তি পান কুণাল ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের সিট প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনে। সেই মামলা খারিজ করে দেয় এমপি এমএলএ আদালত। যে ধারায় মামলাগুলি করা হয়েছিল, তাতে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই বলেই জানিয়েছিলেন বিচারক মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য।