দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :-
রেশন দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁকে জেলের মধ্যেই জেরা করতে গতকাল, বুধবার ইডির একটি টিম যায় প্রেসিডেন্সি জেলে।আদালতের অনুমতিপত্র ছিল তদন্তকারীদের কাছে। জেরাতেই সামনে এল বড় তথ্য।এদিন জ্যোতিপ্রিয়কে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রেশন দুর্নীতি নিয়ে জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্নীতিতে লেনদেন হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে। জানা গিয়েছে, এদিন ইডি জানতে চায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের টাকা ধৃত শঙ্কর আঢ্যর মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছিল কী না। এমনকি, শঙ্করের সংস্থার সঙ্গে বালুর কোনও যোগাযোগ ছিল কী না, এও জানতে চাওয়া হয় বলে খবর। ইডি সূত্রে খবর, প্রয়োজনে ফের বালু বা বাকিবুরকে জেরা করা হবে। উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রথমে বাকিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকে গ্রেপ্তার করে। গত ৫ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয়র লেখা চিঠির ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় শংকরকে। দুজনের মধ্যে বিশাল অঙ্কের টাকা লেনদেন বলেই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। যদিও সে অভিযোগ আগেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন শংকর। তাঁর দাবি, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কোনওদিন তাঁকে ১০০ টাকাও দেননি।” যদিও ইডির তদন্তে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, ফোরেক্স সংস্থার মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা নাকি সাদা করেছিলেন শংকর আঢ্য। দুবাইতেও তাঁর ছেলের সংস্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ইডির দাবি, ওই সংস্থায় রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে। এই তথ্য যাচাই করতেই বুধবার জ্যোতিপ্রিয়কে জেলে গিয়ে জেরা করেন তদন্তকারীরা।