Breaking News

দেবের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী?দেবের বিজেপি-যোগের জল্পনার মাঝেই অভিষেকের সঙ্গে শনিতে বৈঠকে অভিনেতা-সাংসদ!

প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :-দল ছাড়ার বিতর্কের মাঝেই দলের সাংসদ দেবের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ জানা গিয়েছে, শনিবার তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের সঙ্গে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বৈঠকে বসবেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ৷গত কয়েকদিন ধরে বাংলার রাজনীতিতে চর্চায় উঠে এসেছেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। প্রথমে ভাইরাল অডিয়ো বিতর্কে নাম জড়ায় অভিনেতা-সাংসদের। তারপরই ‘সংসদের শেষ দিন’ বলে জল্পনা বাড়িয়েছেন তিনি। লোকসভা কক্ষের অন্দরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেছেন ‘আমি থাকি বা না থাকি…’, আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সংসদ কক্ষের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আজ আমার শেষ দিন।’ এরপরই দেবের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, কলকাতায় মুখোমুখি হতে চলেছেন দুই সাংসদ।সূত্রের খবর, শনিবার বিকেল ৪ টেয় দেবের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন অভিষেক। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে সেই বৈঠক হবে বলেই জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দেবের কিছু মন্তব্যে তৃণমূলের অস্বস্তি বেড়েছে বলে চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি লোকসভা নির্বাচনে আর লড়ছেন না দেব? নাকি রাজনীতি থেকে একেবারেই দূরে সরে যাচ্ছেন অভিনেতা? শুধু তাই নয়, দুর্নীতি নিয়ে দেবের বিরুদ্ধে যে প্রশ্ন উঠেছে, তারও সাফাই দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘এর নাম রাজনীতি। এই রাজনীতিতে আর থাকতে চাই না।’
এমনকি এমন খবরও মিলেছে প্রয়োজনে ঘাটালের পরিবর্তে রাজ্যের অন্য কোথাও থেকে তাঁকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে হুগলি অথবা মেদিনীপুরের কথাও ভেবে রাখা হচ্ছে। কেন দেবকে ধরে রাখতে চাইছে তৃণমূল? সূত্রের খবর, অস্বীকার করার উপায় নেই এখন টলিউডের সব থেকে দামী ও জনপ্রিয় স্টার দেব। বাংলার তরুণ সমাজে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। আট থেকে আশি সকলেই তাঁর দিওয়ানা। একই সঙ্গে দেবকে ঘিরে কোনও বড় বিতর্কও নেই। তাঁর এই ভাবমূর্তিই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। গত ১০ বছর ধরে দেব পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের সাংসদ। দুই দফাতেই তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কোনও দূরত্ব বা মনকষাকষির জায়গা না থাকলেও সাম্প্রতিককালে তাঁর সঙ্গে ঘাটালের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে যে দূরত্ব ও বিরোধ বেঁধেছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। সেই জায়গা থেকেই দেব সংসদে কার্যত সাংসদ হিসাবে তাঁর বিদায় বার্তা দিয়ে দিয়েছেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *