প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-শ্বশুরবাড়িতে না ফেরায় স্ত্রীকে সিঁদ কেটে ঢুকে কোপালেন এক যুবক। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকার কাশীপুর গ্রামের। আহত বধূ পায়েল বিশ্বাসকে চিকিৎসার জন্য বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী গৌতম বিশ্বাস পলাতক। স্বামীর শাস্তি দাবি করেছেন পায়েলদেবী।গোপালনগর থানা এলাকার অম্বরপুরের বাসিন্দা গৌতম বিশ্বাস। বাগদা থানার কাশীপুর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা পায়েল বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। অভিযোগ, বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দিত গৌতম। প্রায়ই পায়েলকে সে বেধড়ক মারধর করত বলেই অভিযোগ। নির্যাতন সহ্য করতে পারেননি তিনি। মাসদুয়েক আগেই বাপেরবাড়িতে চলে আসেন পায়েল। গৌতমের দাবি, তার পর থেকেই ভুল বুঝতে পারে। একাধিকবার বাড়িতে ফেরার জন্য ফোনে আনুরোধ জানিয়েছিল স্বামী। কিন্তু পায়েল আর শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে চাননি। অস্বীকার করেন তিনি।গত ৬ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার মধ্যরাতে বাধ্য হয়ে পায়েলের বাপের বাড়িতে ঢোকার পরিকল্পনা করে গৌতম। অভিযোগ, রান্নাঘরের পিছন দিয়ে সিঁদ কেটে ঘরে ঢোকে জামাই গৌতম। এদিকে, ঘুমঘোরে রাতে জল খেতে উঠে স্বামীকে দেখেই চমকে যান পায়েল। ভয়ে ঠাকুমার দিকে সরতে যান। অভিযোগ, ছুরি হাতে পায়েলের উপর চড়াও হয় স্বামী গৌতম। একাধিকবার কোপ দিতে থাকে সে। পায়েল হাত দিয়ে ঠেকাতে যান। তাঁর হাত, পা-সহ একাধিক জায়গায় কোপ দিতে থাকে। পায়েলের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যান পরিবারের অন্যান্যদের।পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাইক ফেলে চম্পট দেয় স্বামী গৌতম। গুরুতর আহত অবস্থায় পায়েলকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাঁর শারিরীক অবস্থায় স্থিতিশীল। গত বুধবার পায়েল গৌতম-সহ তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বাগদা থানার পুলিশ।