Breaking News

‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে’, মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের পরদিনই সাংসদ খাতের টাকার হিসাব দিয়ে মিমির পোস্ট, কী লিখলেন?

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রকাশ্যে। বৃহস্পতিবার বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ইস্তফার চিঠি পাঠিয়েছেন। মমতা অনুমতি দিলে সেই চিঠি তিনি সংসদের স্পিকারকেও পাঠাবেন বলে জানান।এর মাঝেই শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন মিমি। সেখানেই এই খতিয়ান তুলে ধরেন। সঙ্গে লেখেন, ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যয় কহেনা!’

তিনি লিখলেন, ‘‘আগামী দিনে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, আমার কাজের মাধ্যমে নিশ্চিতরূপে মানুষের হৃদয়ে থেকে যাব।’’বৃহস্পতিবারই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের এই তারকা-সাংসদ জানান, তিনি আর ভোটে লড়তে চান না। রাজনীতি তাঁর জন্য নয়। যদিও মিমির সাংসদপদ থেকে ইস্তফা দিতে চাওয়ার ঘটনাকে সামনে রেখে নানা মহলে নানা চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে সাংসদ থাকাকালীন তিনি কাজই বা কতটা করেছেন? একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাঁর ভূমিকা কী?শুক্রবার মিমি তাঁর ফেসবুক পেজে একটি নাতিদীর্ঘ পোস্ট করেন। লেখেন, ‘আমার জীবন অধ্যায়ের অধিকাংশ সময় অভিনয় জগতে থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু গত ৫ বছর বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের একজন সাংসদ রূপে যতটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্যে করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎপথে থেকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গেছি… সেই সফরের কথা মনে করলে মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়। তাই আনন্দের সাথে বিগত পাঁচ বছরের আমার সাংসদ রূপে যাবতীয় কাজের খতিয়ান আজ জনসমক্ষে তুলে ধরলাম।’যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, ভাঙড়, যাদবপুর, টালিগঞ্জ, উত্তর সোনারপুর, দক্ষিণ সোনারপুর বিধানসভা কেন্দ্র। এদিন মিমি কোন বিধানসভা এলাকায় কত খরচ করেছেন, তার হিসাব তুলে ধরেন। লেখেন, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মিমির এমপি ল্যাড থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭ কোটি ৬ লক্ষ ২ হাজার ৬২১ টাকা। উল্লেখ করেন, কোভিডের কারণে এক সময় ফান্ড আসা বন্ধ ছিল।
তবে এদিনের পোস্টে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি। মিমি লেখেন, ‘আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমার নেত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর স্নেহের হাত আমার মাথায় সর্বক্ষণ রাখবার জন্য। আগামিদিনে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, আমার কাজের মাধ্যমে আমি নিশ্চিতরূপে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় থাকব।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *