দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রেশন ‘দুর্নীতি’তে নাম জড়িয়ে আগেই জেলও খাটছিলেন। সদ্য তাঁকে বনমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার ঠিক এক দিন পরে জামিন চেয়ে আদালতে গেলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রেফতার হওয়ার ১১৩ দিন পর এই প্রথম তিনি জামিনের আবেদন করলেন।এই প্রথমবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন জানান তিনি। আবেদনের পক্ষে দুটি যুক্তি দিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। নিজেকে অসুস্থ বলেই উল্লেখ করেন জ্যোতিপ্রিয়।
এছাড়া রেশন দুর্নীতি মামলায় যোগও অস্বীকার করেন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি জ্যোতিপ্রিয়র জামিনের আবেদন মামলার শুনানি। গত বছরের ২৭ অক্টোবর সল্টলেকের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি রেশন দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে পড়েন বলেই অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সময় বনদপ্তর এবং রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান ও শিল্প পুনর্গঠন দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে জেলবন্দি থাকার পর শুক্রবারই মন্ত্রিত্ব হারান বালু।সংবিধানের ১৬৬ (৩) অনুচ্ছেদ মেনেই রাজ্যপাল ড. সি ভি আনন্দ বোস জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বন দফতর এবং পাবলিক এন্টারপ্রাইজ এবং শিল্প পুনর্গঠন দফতরের মন্ত্রিত্ব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আর মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়লেই জামিনের আবেদন বালুর। আদলত সূত্রে খবর, একদিকে যেমন তাঁর আইনজীবী অসুস্থতার কারণ দর্শিয়েছেন, তেমনই রেশন দুর্নীতি মামলায় তাঁর মক্কেলের যোগ অস্বীকার করে আদালতে আবেদন করেছেন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে।এর আগে একাধিকবার বালুর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ। তাই তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন কোনও সরকারি হাসপাতাল। কিন্তু একবারও জামিনের আবেদন করা হয়নি। এই প্রথম জামিনের আবেদন করলেন তিনি। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় গত ২৭ অক্টোবর রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর বাড়িতে গিয়ে প্রায় ২১ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ৩ টে ২০ মিনিট নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। সম্প্রতি এই মামলায় বাকিবুর রহমান নামে এক রেশন ডিলার গ্রেফতার হওয়ার পরই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম সামনে আসে।