প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সন্দেশখালিতে রবিবার তৃণমূলের সভা হচ্ছে না। বদলে ওই দিন সন্দেশখালি যাবেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। তাঁরা গিয়ে সন্দেশখালির স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন এবং একই সঙ্গে ঘোষণা করবেন সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের সভা কবে হতে চলেছে। রাজ্যে চলতে থাকা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।তৃণমূল সূত্রে খবর, যেহেতু উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে সেই কারণে সমাবেশ করলে মাইক বাজবে। পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে। পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বদল বলে জানা গিয়েছে। তবে আগামিকাল সভা না হলেও আগামী ৩ মার্চ বিশাল জনসভা সন্দেশখালিতে করতে চলেছে ঘাসফুল শিবির বলে জানা গিয়েছে। ওই দিনের সভায় সুজিত বসু-পার্থ ভৌমিক ছাড়াও উপস্থিত থাকতে পারেন ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নারায়ণ গোস্বামী সহ আরও একাধিক মন্ত্রী ও নেতৃত্ব।তবে তৃণমূলের ঘোষিত সভা বাতিল নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা যে শুরু হতে চলেছে তা কি গত মঙ্গলবার জানতেন না পার্থ ভৌমিকরা? জেনেও কেন সভার ডাক দিয়েছিলেন পার্থবাবু?বিরোধীদের দাবি, আসলে সন্দেশখালিকে যত সহজে ঠান্ডা করে ফেলবে বলে তৃণমূল ভেবেছিল পরিস্থিতিতে যে তার থেকে জটিল তা টের পেয়েছে তারা। তাদের দাবি, সন্দেশখালিতে বিরোধীদের রুখতে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে প্রশাসন। সভা করতে গেলে হয় ১৪৪ ধারা তুলতে হবে, নয় ভাঙতে হবে। ১৪৪ ধারা তুললে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফের শাসকদলের সুবিধায় কাজ করার অভিযোগ উঠবে। তাছাড়া সেই সুযোগে সন্দেশখালিতে ঢুকে পড়তে পারেন বিরোধী দলের নেতারা। আর ১৪৪ ধারা ভাঙলে সরাসরি সংবিধানের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়ার অভিযোগ উঠবে তৃণমূলের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে। তাই আপাতত উচ্চ মাধ্যমিককে শিখণ্ডি করে সভা পিছিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।