দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সন্দেশখালিতে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সন্দেশখালির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর সঙ্গে যান সিপিআইএমের যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও পলাশ দাস। ঘুরপথে পুলিশের নজর এড়িয়ে গ্রামে ঢুকে পড়েন সিপিআইএমের যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
তবে শনিবার সকাল থেকেই গ্রামে ঘুরছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। তাঁরা কীভাবে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন, প্রশ্ন ডিওয়াইএফআই নেত্রীর।শনিবার সকালে মুখ ঢাকা দিয়ে পুলিশের নজর এড়িয়ে সন্দেশখালিতে পৌঁছন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। টোটো করে গ্রামে গ্রামে ঘোরেন। সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃত সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের বাড়িতে যান। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। নিরাপদ সর্দারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাকা পরিদর্শনের সময় মাঝেরপাড়ায় মীনাক্ষীকে বাধা দেয় পুলিশ। মহিলা আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনি বেআইনি কাজ করছেন। আমার নামে কোনও অপরাধের মামলা আছে? কেন আমাকে যেতে দেবেন না?’’ মীনাক্ষী একা গ্রামে যেতে চেয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বেশ কিছুক্ষণ তর্কাতর্কির পর ফের টোটোতেই চড়ে বসেন মীনাক্ষী।এদিকে, শনিবার গ্রামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালিতে যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসুরা। পুলিশি বাধা পেয়ে মীনাক্ষী দুই মন্ত্রীকে ‘শাহজাহানের লোক’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘‘পার্থ, সুজিত শাহজাহানের দলের লোক। ওঁরা মানুষকে ভয় দেখাতে এসেছেন। যখন জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছিল, তখন ওঁরা কোথায় ছিলেন? ‘দুয়ারে সরকার’ কোথায় ছিল?’’মীনাক্ষী আরও বলেন, ‘‘১৪৪ ধারা জারি থাকলে আমি একা যেতে পারি। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে তো বাধা নেই। আমরা যেতে চাইছি। যেতে দিচ্ছে না। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আছে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চাই। মানুষ জমি ফেরত চায়। পুলিশের শাস্তি চাই। পুলিশ মানুষের কথা শোনে না। আমরা সে বিষয়ে কথা বলতে এসেছি। জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তা বার করে দিক।’’