দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ১০ মার্চ ব্রিগেড সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে জনগর্জন সভা। ওই সভা থেকেই লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজাবেন তৃণমূল নেত্রী। আর ঠিক এর পরেই প্রচার শুরু করবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় |১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশের পরই রাজ্য চষে ফেলবেন অভিষেক। দলীয় সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। অভিযানের অভিমুখ কীরকম থাকবে, সেই নীলনকশা তৈরি করা নিয়ে এই মুহূর্তে চরম ব্যস্ততা তৃণমূল শিবিরে। রাজনৈতিক মহল থেকে বারবার জানতে চাওয়া হচ্ছিল, তবে কি রাজ্যওয়াড়ি প্রচার অভিযানে নামবেন না অভিষেক? এই প্রশ্নের উত্তর হিসেবেই এবার তৃণমূল শিবির সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১০ তারিখের ব্রিগেড সমাবেশের পরই রাজ্যওয়াড়ি প্রচার অভিযানে নামছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।প্রসঙ্গত, রাজ্যের বাইরে অসম, মেঘালয়েও ভোটে লড়াইয়ের ময়দানে তৃণমূলের প্রার্থী থাকবে। বাংলায় ৪২ আসনের পাশাপাশি সেক্ষেত্রে অসমে দুটি আসন ও মেঘালয়ে একটি আসনে প্রার্থী দিতে পারে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে ভোট প্রচারের ক্ষেত্রে তৃণমূলনেত্রী ও অভিষেক দুজনকেই চাইছে ওই দুই প্রতিবেশী রাজ্যের দলের সংগঠন। এই দুই রাজ্যের অভিষেকের সূচি নিয়ে আলোচনাও চলছে। ইন্ডিয়া জোটের শরিক হিসাবে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার আর ন্যূনতম কোনও পরিস্থিতি না থাকলে ওই দুই রাজ্যে নিজেদের মতো করে প্রচারসূচি সাজাবে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে রাজ্যে ম্যারাথন প্রচারের পাশাপাশি ভিনরাজ্যও প্রচারে যেতে পারেন অভিষেক।উল্লেখ্য, এর আগে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে রাজ্যজুড়ে প্রায় দুমাস টানা বাইরে কাটিয়েছেন অভিষেক। ক্যাম্প করে থেকেছেন। জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে সভা করেছেন, রোড শো হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাস তুঙ্গে উঠেছে। এবার টানা বাইরে থাকার পরিকল্পনা না রেখে নির্দিষ্ট সময় পরপর জেলায় জেলায় প্রচারে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে অভিষেকের।