দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সন্দেশখালির নেতা শাহজাহান শেখকে দল থেকে ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড করল তৃণমূল। দলের সমস্ত পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে বসে এ কথা ঘোষণা করলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, ব্রাত্য বসু, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা। ডেরেকের বক্তব্য, ‘দুই ধরনের দল থাকে। এক ধরনের রাজনৈতিক দল থেকে যারা শুধু মুখেই বলে যায়। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস যা বলে তা করে দেখায়। এটা আমরা এই প্রথমবার নয়। অতীতেও করেছি।’বুধবার রাতে মিনাখাঁ থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক শাহজাহানকে ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরেই শাহজাহানকে কলকাতার ভবানীভবনে নিয়ে আসে পুলিশ। দুপুরে ব্রাত্য সাংবাদিক বৈঠকে শাহজাহানকে সাসপেন্ড করার বিষয়টি জানান। ব্রাত্য বলেন, ‘‘দলের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তৃণমূল যে পদক্ষেপ করে, এটাই তার প্রমাণ। যদিও তৃণমূলের কাছে এটা নতুন কিছু নয়। তৃণমূল আগেও এ কাজ করেছে। কিন্তু বিজেপি তো আর তৃণমূল নয়! আমরা প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি, শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মা বা নারায়ণ রাণেকে সাসপেন্ড করে দেখান উনি! মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী, ব্রিজভূষণ বা অজয় মিশ্র টেনির ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে?’’শাহজাহানকে তৃণমূলের সাসপেন্ড করা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘‘মুখ বাঁচাতে শাহজাহান শেখকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। এত দিন তো দোষী মানাই হচ্ছিল না। গ্রেফতার বা সাসপেন্ড সবই নাটক। যে ভাবে আদালতে ঢুকছিলেন তিনি, তাতে তো মনে হয়নি গ্রেফতার। মনে হচ্ছিল পুলিশকেই গ্রেফতার করেছেন শাহজাহান।’’ সুকান্তের সংযোজন, ‘‘এখন আরও একটা প্রশ্ন। কোন তৃণমূল সাসপেন্ড করল? পিসি তৃণমূল না কি ভাইপো তৃণমূল? মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ভাইপোর কথাতেই নাকি শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনিই কি এই রাজ্যের ‘সুপার সিএম’?’’